পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তর ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে উচ্চপদে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় গত শুক্রবার জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান লুইস লিবেরিও কারিলহোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ অনুরোধ জানান আইজিপি।
জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের বৈঠকে পরস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
আইজিপি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের যে কোনো প্রয়োজনে সাড়া দিতে বাংলাদেশ পুলিশ সদা প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকার ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ ও পেশাদারি বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েনের অনুরোধ জানান। এক্ষেত্রে তিনি সোয়াট, ক্যানাইন, রিভারাইন ও গার্ড পুলিশ এবং ফরেনসিক ইউনিটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি-প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি মিডিয়া কামরুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অবদানের স্বীকৃতি এবং পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও কর্মনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন। পূর্ব তিমুর এবং হাইতিতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের যে উচ্চ পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধ তিনি দেখেছেন তা উল্লেখ করেন ইউএন পুলিশ প্রধান। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালি ও ডিআর কঙ্গোতে কর্তব্যরত বাংলাদেশি পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বেরও প্রশংসা করেন তিনি।
বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে আসছে, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এসডিজি বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন আইজিপি। শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবারাহের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ আগামী দিনগুলোতেও সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে মর্মে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান। জাতিসংঘের শান্তি পদক্ষেপ ও বৈশ্বিক সহযোগিতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাদেকুজ্জামান ও পুলিশ সদর দপ্তরের ওভারসিজ অ্যান্ড ইউএনও অপারেশন শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।