বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের হাচানিয়া জামে মসজিদে কোরআন শিক্ষা ও মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ করতে তালা দেয়ার অভিযোগে মসজিদের সামনে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।
জানা গেছে, টেংরা গ্রামের মৃত ছিদ্দিক ফরাজির ছেলে মো. কবির ফরাজির পরিচালনায় দীর্ঘ ৩ বছর থেকে বিনামূল্যে উক্ত মসজিদে এলাকার শিশুদের কোরআন ও ইসলাম শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন হাফেজ খতীব মো. মিজানুর রহমান।
মসজিদের আজান ও প্রতিদিন সকালে শিশুদের কোরআন শিক্ষার আওয়াজে প্রতিবেশি সেকান্দার ফরাজির ছেলে ছগির ফরাজি (৪৫) এর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় বলে ২৮ আগস্ট সকালে ছগির ফরাজি মসজিদে গিয়ে মাইকের তার ছিড়ে ফেলাসহ শিক্ষক হাফেজ মো. মিজানুর রহমান এবং শিশু শিক্ষার্থীদের বেধমভাবে মারপিট করে মসজিদ গেটে তালা বদ্ধ করে।
২৮ আগস্ট থেকে দফায় দফায় মসজিদের তালা খোলার জন্য এলাকাবাসী ছগিরের কাছে অনুরোধ করলেও ছগির তালা খুলে না দেওয়া সেই থেকে মসজিদে নামাজ পড়তে পারেননি এলাকাবাসী।
অবশেষে বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছগিরের বিচারের দাবিতে মসজিদের সামনে মানববন্ধন করে, সবাই মিলে হাতুরি দিয়ে তালা ভেঙে মসজিদে প্রবেশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চরদুয়ানি ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য মোসাঃ. রহিমা জাহাঙ্গির, উক্ত ছগিরের চাচা মো. শাহজাহান ফরাজি, মো. মান্নান শরীফ, মসজিদ পরিচালক মো. কবির ফরাজি মৃত শফিজ উদ্দিনের ন্ত্রী মোসা. আলেয়া বেগম, মো. জয়নালের স্ত্রী মোসা. ফাতিমা বেগম, মো. সাঈফুল, মো. মাসুদসহ প্রমুখ।
বক্তার বলেন, সগির ফরাজি একজন নাস্তিক, তার সাথে কারো তর্ক হলেই সে অবৈধ পাইপগান নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বক্তরা এসময়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছগির ফরাজির কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ তার সঠিক বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছগির ফরাজির কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন কারণে আমার সাথে অনেকের বিরোধ রয়েছে, সেই বিরোধের জের ধরেই আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।