পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেবে সরকার। নতুন বছরের প্রথম দিনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশপাশি এবার পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল পদ্ধতিতেও ছাপা বই তুলে দেয়া হবে। গতকাল রোববার ঢাকার মাতুয়াইলে বিনামূল্যে বিতরণের বই ছাপানো হচ্ছে এমন দু’টি ছাপখানা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আগের বছরগুলোর মতো এবারও শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি বই হাতে পাবে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ স্কুলে বই পৌঁছে গেছে। অবশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুস্তক যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এবার ব্রেইল বই দেবো, আমরা ওই বই ছাপিয়েছি। তবে সব দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই বই পাবে সেই নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। কারণ দৃষ্টি প্রতিন্ধীদের তথ্য পেতেই আমাদের বিরাট সমস্যা, আমরা জরিপ করছি। এবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের পাঁচটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের বই ছাপানো হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সকল ভাষায় লিপি নেই, সাহিত্য নেই, লেখা নেই। যেটা আছে আমরা চাই সেটাতেই তারা শিখুক। মায়ের কোল থেকে নেমেই সে প্রথমে স্কুলে যায়, বাংলা ভাষায় কথা সে বুঝতে পারে না। ঠিক সময়ে তাদের হাতে এসব বই পৌঁছে দেবো। আমরা প্রাথমিক স্তরে সেই ধরনের শিক্ষকও তৈরি করতে চাই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানান, এবার ৯ হাজার ৭০৩ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ব্রেইল বই এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২৪ হাজার শিশুর হাতে তাদের নিজেদের ভাষায় লেখা বই তুলে দেয়া হবে। এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বল্প পরিসরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল বই দেয়া হতো। শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ জানান, আগামী শিক্ষাবর্ষে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭২টি বই বিতরণ করেছিল সরকার। সেই হিসেবে এবার ২ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৩৭টি বই ও শিক্ষা উপকরণ বেশি বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, ছাপার কাগজের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার ইন্সপেক্টর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কাগজের রোল পরীক্ষা করার পর ভেতরে আনার অনুমতি দেয়া হয়। অনুমতি ছাড়া কোনো কাগজ বাইরে থেকে ছাপাখানায় ঢুকতে দেয়া হয় না। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে কাগজের রোলগুলো সামনে রাখা আছে। মন্ত্রী বলেন, আগে ছোট ছোট প্রেসে বই ছাপা হতো। বর্তমানে বিপুল পরিমাণ বই ছাপার কারণে বড় ধরনের ছাপাখানা গড়ে উঠেছে। তিন বছর আগেও এত বড় আকারের প্রেস ছিল না। পাঠ্যপুস্তক ছাপাকে কেন্দ্র করে এ শিল্পের বিকাশ হয়েছে। বড় আকারের প্রেস স্থাপন করা হয়েছে। এ শিল্পে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে উন্নত মানের অটোমেটিক মেশিনে ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে শিক্ষাসচিব মো: সোহরাব হোসাইন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ ও রুহী রহমান, জাতীয় কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং সদস্য ড. রতন সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।