বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে যুবদল কর্মী শাওনকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের শাওন গনতন্ত্রের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সে যুবদলের প্রমানিত ও পরীক্ষিত একজন সক্রিয় কর্মী। দলীয় কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণের অনেক ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। তার চাইতে বড় পরিচয় সে এদেশের নাগরিক তাকে পুলিশ এভাবে গুলি করে হত্যা করতে পারেনা। অবিলম্বে শাওন হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পূব গোপালনগর এলাকায় নিহত শাওনের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। পরে মির্জা ফখরুল নিহতের পরিবারকে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, জেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের আহবায়ক খোকন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেলসহ জেলা ও মহানগর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নিহত শাওন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সে যুবদলের কর্মী নয় বলে পুলিশ ও সরকার এখন মিথ্যাচার করছে। সরকার সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচিতে গুলি করে মানবাধিকার লংঘন করছে। আমরা সন্ত্রাসে বিশ্বাস করিনা বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করিনা আমরা শান্তি পূর্ণভাবে গনতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করি। নারায়ণগঞ্জে একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ যে ভাবে গুলি চালিয়েছে একটা স্বাধীন দেশে তা চলতে পারে না।
এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ আমাদের শত্রু নয়, আপনারা কারো হুকুম পালন করবেন না। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অন্যথায় অচিরেই দেশব্যাপি সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল। এদিকে মির্জা ফখরুল আসার সংবাদে সকাল থেকে নিহতের বাড়ি সহ আশপাশে শত-শত নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকে। বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে নেতা-কর্মীদের ভীড় বাড়তে থাকে উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার দুপরে বিএনপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র্যালীতে পুলিশ বাধা দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শাওনের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।