Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দীর্ঘদিন চাল উত্তোলন হলেও মিলছে না ৭ শতাধিক কার্ডধারীর সন্ধান

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীতে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার প্রদত্ত ১০ টাকা কেজি চালের কার্ডধারীর অনলাইন কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হলেও প্রায় ৭শতাধিক কার্ডধারীর সন্ধান মিলছে না। তবে এসকল কার্ডের অনুকূলে দীর্ঘদিন চাল উত্তোলন হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নারুয়া ৯৮৬টি, জঙ্গল ৭৮৫টি, জামালপুর ১১৪৭টি, নবাবপুর ১৪৫৩টি, ইসলামপুর ১১৭০টি, বালিয়াকান্দি ১০৭৭টি ও বহরপুর ইউনিয়নে ১৩২৫টিসহ মোট ৭ হাজার ৯৪৩টি পরিবারকে ১০ টাকা কেজির খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ৬টি কার্ড ভুলক্রমে বাদ পড়ে।
নাম না প্রকাশের শর্তে অনলাইন কার্যক্রমে যুক্ত একজন বলেন, ভিজিডি কার্ডধারী, জাতীয় পরিচয়পত্র ও কার্ডে নাম ভুল, স্বামী-স্ত্রীর নামে কার্ড থাকলে সেগুলো অনলাইনে আপলোড হচ্ছে না। এক্ষেত্রে অনেক কার্ডধারী বাদ পড়ছেন। তবে কোন টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন। তবে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছ থেকে সুপারিশ ছাড়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত রোবববার দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদে কার্ড অনলাইন করতে যান বালিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা সহকারী আনছার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা আক্তার। সেখানে মহিলা ইউপি সদস্য আসমা বেগমের সাথে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। তাকে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষের বাইরে থেকে তালা মেরে আটকে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা, উপজেলা আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন, উপজেলা আনছার ভিডিপি প্রশিক্ষক আবু সাঈদ মাতুব্বর, বালিয়াকান্দি থানার এস আই রাসেদুল ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর তাকে উদ্ধার করে।
বালিয়াকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বিশ্বাস বলেন, আমরা ইউনিয়নে যাদের নামে কার্ড রয়েছে তা সঠিক থাকলে অনলাইন করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এখানে কোন হয়রানি বা সুপারিশের প্রয়োজন নেই। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, গত ১৫ জুন থেকে কার্ডধারীদের অনলাইনের আওতায় আনতে কাজ করা হচ্ছে। ৩১ আগস্ট অনলাইন কার্যক্রম শেষ হবে। আমরা ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়েছি, যাতে কোন কার্ডধারী অনলাইন কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়েন। ৭টি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র ও উপজেলা খাদ্য অফিসেও অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তবে প্রতিটি ইউনিয়নেই শতাধিক করে কার্ডের অনলাইন কার্যক্রম হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ