Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবি ছাত্রলীগের মারামারি

ইবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:২৪ পিএম

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রলীগের সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মীদের মাঝে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে মারামারিতে জড়ায় সিনিয়র ও জুনিয়র কর্মীরা। এ ঘটনায় প্রায় ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট দিবাগত রাতে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড়ে লুঙ্গি পরে আসেন ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হুজ্জাতুল্লাহ। এ সময় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম রিংকু তাকে ডেকে লুঙ্গি পরে বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রিংকু তাকে থাপ্পড় মারে বলে অভিযোগ হুজ্জাতুল্লাহ’র। পরে ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পরে হলে ঢোকার সময় হুজ্জাতুল্লাহ ও তার বন্ধু আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল আমিনসহ জুনিয়রদের মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ রিংকুর।

পরে এ ঘটনার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজের পরে আল আমিনসহ তার বন্ধুদের মারধর করে সিনিয়র শিক্ষার্থী রিংকু ও তার বন্ধুরা। এ সময় তার সাথে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হামজা, লোকপ্রশাসন বিভাগের জামিলসহ তার বন্ধুরা ছিলেন বলে অভিযোগ আল আমিনের। পরে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মজুমদারসহ সিনিয়র কর্মীরা সবাইকে হলে পাঠিয়ে দেন। এদিকে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ডাইনিংয়ে খেতে গেলে ফিন্যান্স এন্ড ব্যংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আশিক মারধরের শিকার হন। এ সময় আল আমিনের বন্ধু হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শুভ্র ভৌমিক, অর্ক ও আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সুমন লাঠি দিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ আশিকের।

আশিককে মারধরের ঘটনা জানার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে তার বন্ধুরা লাঠি, স্টাম্প, রড নিয়ে বের হন। এদিকে জিয়াউর রহমান হলে আল আমিনের বন্ধু ও সিনিয়ররাও রট, লাঠি ও হোকস্টিক নিয়ে মহড়া দিতে থাকেন। পরে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতসহ সিনিয়র কর্মীরা দুই পক্ষকে শান্ত করেন। কয়েক দফার মারামারিতে প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িতরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কর্মী শাহজালাল সোহাগ ও রায়হানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, লুঙ্গি পরার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলে হলে মারামারি দুঃখজনক। জানার পর বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অনুষদ ভবনের আনসার দুপুরে আমাকে জানিয়েছে যে এখানে ছাত্রদের তাড়ানোর (ধাওয়া) ঘটনা ঘটেছে। পরে খোঁজ নিয়ে কিছু জানতে পারিনি। পরে বিকেলে জানলাম জিয়া হলে মারামারি হয়েছে। তারা আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেব।



 

Show all comments
  • jack ali ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৩৫ পিএম says : 0
    তোরা সব মারামারি করে মরে যা তাহলে আমরা তোদের জুলুমের হাত থেকে বেঁচে যাব আল্লাহ ওদের কে ধ্বংস করে দাও তোমার জমিনে তোমার আইন দিয়ে দেশ শাসন করো তাহলে আমরা একটু সুখের সাথে বসবাস করতে পারবো এই বর্বর দের কাছ থেকে আমাদের রক্ষা করো রক্ষা করো রক্ষা করো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ