নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় শতবর্ষী বলাইশিমুল খেলার মাঠ রক্ষার দাবীতে শুক্রবার বিকেলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন বলাইশিমুল খেলার মাঠসহ দেশের মাঠগুলো আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। এই জাতীয় সম্পদ রক্ষার যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
বলাইশিমুল খেলার মাঠে থেকে আশ্রয়ন প্রকল্প সরাও, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর, দেশের প্রতিটি গ্রাম এবং নগরের প্রতি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ বানাও, মাঠ নদী খাল বিল জলাশয় পাহাড় বন রক্ষা করার দাবীতে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে শুক্রবারের এই বিশাল মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিজেরা করি এর প্রধান নির্বাহী খুশী কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাপা যুগ্ম-সম্পাদক ও গ্রীণ ভয়েস সমন্বয়ক আলমগীর কবির, ঢাকার তেতুলতলা মাঠরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রত্না উদীচীর সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ নূর, বলাইশিমুল মাঠরক্ষা গণকমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, বলাইশিমুল মাঠরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক চিরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুগ্ম-
সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক) কেন্দুয়া উপজেলা শাখার
সাধারণ সম্পাদক মামুনুল কবির খান হলি, ইউপি সদস্য পলি আক্তার, আজিজুল হক ও ওবায়দুল হক উজ্জল প্রমূখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হাবিবুর রহমান।
খুশী কবির বলেন, খেলার মাঠে আশ্রয়নের ঘর নির্মাণ অমানবিক। নিরীহ গ্রামবাসীর নামে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার এবং নতুন মামলা না করার আহবান জানান। মানরক্ষার নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের সাথে বাপাসহ সংগঠন পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসের সাথে বৈঠক করেন। ডিসি মাঠে নির্মিত ১২ টি ঘরের পাশে দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাব করেন। সবশেষে আদালতের সিদ্ধান্ত সকলে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
হলি খান বলেন, নেত্রকোনা জেলাধীন কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের শতবর্ষী খেলার মাঠটি রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বলাইশিমুল ইউনিয়নের সরকারি খাস জমির পরিমান ৮৪ একর, তন্মধ্যে বলাইশিমুল গ্রামেই সরকারি খাস জমির পরিমাণ ১০ একর, ৩ একর ৬৭ শতাংশ জমি কান্দা যা বাড়ি করার উপযোগী। খেলার মাঠ ঠিক রেখে অন্যত্র আশ্রয়ন প্রকল্প হোক এটাই জনতার চাওয়া। প্রশাসন এবং জনতার মাঝে সাংঘর্ষিক কোন কিছু কাম্য নয়, চাই সুন্দর একটি সমাধান।