Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জীবনের ঝুঁকি তবুও মহাসড়কে চলছে ধান শুকানোর কাজ

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আতাউর রহমান ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) থেকে : মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে আমন ধান শুকানোর কাজ। দু’পাশে কলাগাছ অথবা কাঠের গুঁড়ি ফেলে ধান শুকাতে দেয়ায় রাস্তা শুরু হয়ে যান চলাচলে বিঘœ ঘটছে। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার বেশি শিকার হচ্ছে  ত্রিহুইলারগুলো। দূরপাল্লার গাড়ি  ধীরগতিতে চলায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রীরা। সরেজমিন দেখা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের রাস্তার দু’পাশে ধান শুকাচ্ছে সড়কের পাশের বাসিন্দারা। ধান রোদে দেয়ার পর দু’পাশে কলাগাছ অথবা কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাখার কারণে রাস্তা শুরু হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলাচলে বিঘœ ঘটছে। প্রায় সময়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সিএনজি যাবতীয় ত্রিহুইলারগুলো দুর্ঘটনার কবলে বেশি পড়ে। জানা যায়, আমন মৌসুমে সূর্যের আলো একটু আড়াআড়িভাবে পড়ায় বাড়ির চারপাশের গাছপালার ছায়া ঢেকে দিচ্ছে আঙিনা। বোর মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমের দিনগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় রোদও থাকে অল্পসময়। তাছাড়াও গ্রামগুলোতে বাড়ির পাশে গাছ লাগানোয় আমন মৌসুমে বাড়ির আঙ্গিনায় রোদ পাওয়া যায় কম। মহাসড়কে পিচ ও ঝুড়ি পাথরের কার্পেটিংয়ের উপর রোদ পড়লেই অল্পসময়ে তপ্ত হয়ে ওঠে যার ফলে মহাসড়কে ধান শুকাতে দিলে তা দ্রুত শুকায়। তাছাড়া মহাসড়কে ত্রিপল ছাড়াই ধান শুকাতে দেয়া যায়। এসব সুবিধার কথা ভেবেই মহাসড়কের আশপাশের কৃষকরা মহাসড়ককে ধান শুকানোর জন্য বেচে নিয়েছেন। বোরো মৌসুমে জমিতে পানি থাকায় ধান শুকানোর কাজটি কঠিন হলেও এ মৌসুম শুষ্ক হওয়ায় অনায়াসেই ধান কাটার পর জমিতেই তা শুকানোর কাজটি করতে পারে। এতে শ্রম ও সময় একটু বেশি লাগলেও জীবনের কোনো ঝুঁকি থাকে না। মহাসড়ক ঝামেলামুক্ত থাকলে যানচলাচল সহজ হয়। কমে আসতে পারে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবগামী শ্যামলছায়া ও এমকে সুপারের গাড়ি চালকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ধান শুকাতে দিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে রাখায় গাড়ি চালাতে হচ্ছে ধীরগতিতে। প্রায় সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। সিএনজি চালক আইয়ুব আলী জানান, রাস্তার দু’পাশে ধান রোদে দেয়ায় মাঝ রাস্তা দিয়ে সিএনজি চালাতে হয়। এতে প্রায় সময় বড় গাড়িগুলো সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে দিচ্ছে। ঈশ্বরগঞ্জ পরিবহন শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রয়েল বলেন, এ মৌসুমে রাস্তা ছাড়াও ধান শুকানোর প্রচুর জায়গা রয়েছে। একটু সচেতন হলে আমরা অনেক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে পারি। রাস্তায় ধান শুকাতে না দেয়ায় ভালো। ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ রোকনুজ্জামান জানান, মহাসড়কের দু’পাশে ধান শুকানোর ফলে ছোট ছোট গাড়িগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে উদ্ধার কাজে দ্রুত পৌঁছতেও তাদের সমস্যা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ