রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ২০১৭ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে নেয়া হচ্ছে এ অতিরিক্ত টাকা। যার দরুণ সন্তানদের এ ফরম পূরণ করতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র অভিভাবকেরা। জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ব্যবহারিকসহ সকল বিষয়ের ফি ১৩৯৫ টাকা, কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ব্যবহারিকসহ সকল বিষয়ের জন্য ফি ১৪৮৫ টাকা, কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়েকগুণ পর্যন্ত গলাকাটা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বাড়তি অর্থ আদায়ের ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজগুবি সব খাত অভিভাবকদের কাছে তুলে ধরছেন। এর মধ্যে কোচিং ফি, প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন খাত, ২০১৭ সালের প্রথম ২ থেকে ৩ মাসের বেতনসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে এসব ফি আদায় করা হচ্ছে। কেউ কেউ দেখাচ্ছেন চরম স্বেচ্ছাচারিতা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাজিপুর উপজেলার ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ৬২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুই চারটি বিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সবগুলো বিদ্যালয়েই অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। জানা যায়, এ বছর পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ কোনো প্রতিষ্ঠানে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩ হাজার, বিজ্ঞান শাখায় ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে বিদ্যালয়গুলো। অথচ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরিপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পরীক্ষা ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনোক্রমেই অতিরিক্ত ফি নেয়া যাবে না। এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে দেন। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ বিদ্যালয়কে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা সুদের উপর ধার করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এধরনের অভিযোগ মেঘাই ইইউআই উচ্চ বিদ্যালয়, কাজিপুর রানী দিনমনি উচ্চ বিদ্যালয়, হরিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সেনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ঘোড়াগাছা উচ্চ বিদ্যালয়, তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়, শিমুলদাইড় উচ্চ বিদ্যালয়, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কান্তনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কাচিহারা উচ্চ বিদ্যালয়, গান্ধাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, খাষশুড়িবেড় উচ্চ বিদ্যালয়, পরাণপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চরগিরিশ মনসুর নগর জাতীয় উচ্চ বিদ্যালয়, গান্ধাইল রতনকান্দি ইউ. আ. আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়, নাটুয়ারপাড়া কেবি উচ্চ বিদ্যালয়, খাসরাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, আলমপুর এনএম উচ্চ বিদ্যালয়, বিয়াড়া নুরনবী উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব খুকশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জিসিজি উচ্চ বিদ্যালয়, চরসিংড়াবাড়ী-সিংড়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা, মাথাইল চাপড় দাখিল মাদ্রাসাসহ প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজিপুর রানী দিনমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, বাড়তি কোনো টাকা আমি নেই না। শিক্ষার্থীদের বেতন, কেন্দ্র ফি, অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন খাত যোগ করে আসলে মোট টাকা একটু বেশি দেখায়। সরকার নিধারিত ফি’ই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিচ্ছি। ব্যাপারটা অভিভাবকদের বোঝার ভুল। এসব ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীমা আরা বলেন, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ আমার কাছেও রয়েছে। আমি ২/১ দিনের ভিতরে ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।