পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বিধানটি বাতিল করেছিলেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছিলো সরকার পক্ষ। শুনানি শেষে চেম্বার জাস্টিস এ. ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
হাইকোর্ট তার আদেশে বলেছিলেন, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থী ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি। এতে সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতারের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন নেয়ার বিধান ছিলো। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৫ আগস্ট বিধানটি বাতিল করে দেন।
আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন,আদালত রায়ে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪১(১) ধারা বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থী, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি বলে ঘোষণা করেছেন। আদালত বলেছেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে আছে, আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবেই উল্লেখ রয়েছে। তারপরও ৪১(১) ধারা করে সেখানে সরকারি কর্মচারীদেরকে আলাদাভাবে একটি সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। তা কোনোভাবেই সংবিধান সম্মত নয়।এ আইনি একটি অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের সুরক্ষা দিতে এ আইনের ৪১(১) ধারা সংযোজন করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রায়ের ফলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পূর্বানুমোদন নেয়ার প্রয়োজন নেই।
আমরা আদালতকে দেখিয়েছি- এই আইন করার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য। সেটি হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদেরকে সাধারণ নাগরিক থেকে একটু আলাদা করে তাদেরকে একটি বিশেষ শ্রেণি হিসেবে দেখিয়ে, তাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। অপরাধ করলেও যেন তারা অপরাধী হিসেবে শাস্তি না পায়। বিশেষ করে এই আইনের মাধ্যমে দুদকের যে স্বাধীনতা সেটা খর্ব করা হয়েছিল।
এর আগে একই ধরণের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন। একই সুযোগ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত উক্ত আইনের ৪১(১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থি। গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে সরকার পক্ষ। চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে আপিলটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয়, ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে। আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহিত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে। সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারায় বর্ণিত বিশেষ সুবিধা প্রদানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই রিট করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।