Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতারণার শিকার ৮ শতাধিক তরুণ-তরুণী

এনজিওতে চাকরির প্রলোভন

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীতে পল্লী ভিশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) শিক্ষক নিয়োগের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। এতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন আট শতাধিক তরুণ-তরুণী।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকে একটি জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে লোভনীয় বেতনসহ নানা প্রলোভন দেওয়া হয়। বিজ্ঞতিতে পল্লী ভিশনের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছিল আলমগীর টাওয়ার, ৫ম তলা, ভুলতা গাউছিয়া, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। অনেকে বিজ্ঞপ্তির প্রতি আস্থা রেখে পল্লী ভিশন নামের প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রায় সারা দেশেই এ প্রতারণার ফাঁদ পাতে চক্রটি। রাজবাড়ী জেলায় সহকারী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামের নিপুল কুমার নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিয়োগ নিয়ে স্থানীয়ভাবে এটি একটি ‘সরকারি প্রজেক্ট’ হিসেবে প্রচার চালান। রাজবাড়ীর পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দি ও সদর উপজেলা থেকে শিক্ষক হিসেবে প্রায় আটশ শিক্ষিত বেকার যুবক ও তরুণীকে নিয়োগ দেন। যাদের সবার কাছ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে জামানত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন বাড়ি ও বাড়ির আঙিনায় পল্লী ভিশনের নামমাত্র স্কুল করা হয়। সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে নেয়া হয়। এ বাবদ একজন শিক্ষক গড়ে ৬ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। যর টাকার পরিমাণ ৪৮ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানের নামে ১-২ মাস কার্যক্রম পরিচালনার পর থেকেই শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারায় শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ওই ঠিকানায় এ ধরনে কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। এদিকে প্রতারণার শিকার প্রায় ৮০০ বেকার শিক্ষক-শিক্ষিকা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
সেলিম নামে এক যুবক বলেন, আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি মূলত নিপুলের হয়ে কাজ করে আজ বিপাকে। তবে আমরা এ বিষয়ে প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। এদিকে একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, আমাদের প্রজেক্টের কথা বলে চাকরি দেয়া হয়েছে। সঙ্গে জামানতের জন্য টাকা নেওয়া হয়। আমরা প্রতারণার শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরছি।
পাংশা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ রকম কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে বলে আমার জানা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ