Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের ব্যাখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দৈনিক ইনকিলাব এর গত মঙ্গলবার ৫ এর পাতায় মাদারীপুরে এমওপি পটাশ সারের তীব্র সঙ্কট ও বেশি দামে বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামার ঢাকা পরিচালক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রকাশিত সংবাদের বিষয় ভিন্নমত পোষণ একটি চিঠি প্রদান করে।

প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো ‘মাদারীপুরে এমওপি পটাশ সারের তীব্র সঙ্কট দ্বিগুন দামেও সার পাচ্ছেনা চাষিরা’ উপরোক্ত শিরোনামের মাধ্যমে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় সংবাদের প্রেক্ষিতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক প্রেরিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা যায়, মাদারীপুরে এমওপি পটাশ সারের তীব্র সঙ্কট দ্বিগুন দামেও সার পাচ্ছেনা চাষিরা, সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডাসার এবং মাদারীপুর সদরের বাজার ও কৃষকের নিকটে যান। উক্ত সময়ে এমওপি সারের সরবরাহ কম থাকলেও তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণকরত নির্ধারিত মুল্যে সার বিক্রয় হচ্ছে দেখতে পান।
মাদারীপুর সদরের কৃষক ফরহাদ শরীফ নামে কেউ এমওপি সার ক্রয় করার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে উক্ত কৃষকের নিকট ইউরিয়া ও ডিএপি সার সরকার নির্ধারিত মুল্যেও চেয়ে অধিকমুল্যে বিক্রয় করার অপরাধে গগনপুর বাজারের সংশ্লিষ্ট খুচরা বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মাসিক বরাদ্দের সমুদয় সার উত্তোলনের জন্য সকল বিসিআইসি ডিলার সারের মুল্য পরিশোধ করেছে উত্তোলনের কার্যক্রম চলমান। ইতোমধ্যে জগদীস কুন্ডু ট্রের্ডাস বরাদ্দপ্রাপ্ত এমওপি সার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে সার সরবরাহ স্বাভাবিক আছে এবং মনিটারিং কার্যক্রম জোড়ালোভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রকাশিত সংবাদটি সত্যতা রয়েছে যা ব্যাপক তথ্যের ভিত্তিতে করা হইয়াছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পাঠানো বক্তব্যে সংবাদের সত্যতা ইঙ্গিত করেছে। এমওপি সারের সরবরাহ কম তাদের প্রতিবেদনেই স্বীকার করেছে তাহলে সার সঙ্কটে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তদন্তে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। কেননা প্রকাশিত সংবাদে যারা ভুক্তভোগী তাদের কাছে সার সঙ্কটের বিষয়ে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
জগদীস কুন্ডু ট্রের্ডাস বরাদ্দ প্রাপ্ত এমওপি সার পেয়েছেন বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানালেও সাংবাদিকরা সরজমিনে গেলে জগদীস কুন্ডু ট্রের্ডাস এর স্বতাধিকারী সদানন্দ কুন্ড বলেন- আমি গত সপ্তাহে এমওপি পটাশ সারের জন্য চালান রশিদও ব্যাংকে জমা দেই। কিন্তু গোডাউনে সার না থাকায় চালান ফেরত দিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের স্যারেরা বলেছেন, সার বরাদ্দ আসলেই খবর দিয়ে সার দেয়া হবে। সংবাদ প্রকাশের পর বরাদ্দ আসলে দায়ভার মিডিয়া নিতে পারেনা।
তাছাড়া সার মজুদ করে সারের কৃত্রিম সঙ্কট করার অভিযোগে গত সোমবার রাত ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজারের সার ও বীজের পরিবেশক জগদীশ কুন্ডু ট্রেডার্সের মালিক সদানন্দ কুন্ডুকে এই দণ্ড প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো.মাঈনুদ্দিন। এ সংবাদটি গত বুধবার দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং প্রকাশিত সংবাদটি নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে করা হইয়াছে। কোনো সত্যের অপলাপ ঘটেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ