Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডোমারে স্ত্রী-সন্তান হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় স্ত্রী ও আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার পর নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জিয়ারুল ইসলাম (৩০) নামে এক ব্যক্তি। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নিমোজখানার হরতকিতলা নামকস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তার ১ মাস বয়সী শিশু সন্তান ইয়াছিন তার শ্বাশুড়ি বিলকিস বেগম ও ঘাতক জিয়ারুল নিজেই। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন জিয়ারুলের স্ত্রী রত্না বেগম (২৫) ও আড়াই বছর বয়সী মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার। জিয়ারুল ইসলাম উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের চান্দিনাপাড়া এলাকার সুমারু মামুদের ছেলে। সে তার শ্বশুরবাড়ি নিমোজ খানার হরতকীতলায় ৪ বছর ধরে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন গতকাল বুধবার দুপুরে জিয়ারুলের সাথে তার স্ত্রী রত্না বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে জিয়ারুলের স্ত্রী রত্না বেগম তার আড়াই বছরের কন্যা সন্তান ইয়াছমিনকে নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন। এ সময় রত্না বেগমের মা বিলকিস বেগমও তার এক মাস বয়সী নাতিকে কোলে নিয়ে বাড়ির বাইরে হরতকি তলার রাস্তায় আসেন। এ সময় জিয়ারুল বাড়ি থেকে ধারালো ছুরি নিয়ে তার শ্বাশুড়ির কোলে থাকা শিশু সন্তানকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন।
এ সময় তার শ্বাশুড়ি শিশুটিকে আনার জন্য এগিয়ে গেলে জিয়ারুল ছুরি দিয়ে তার শাশুড়িকে কোপাতে থাকেন। এ সময় তার শাশুড়ির বা গালে ও পিঠে ছুরির কোপ লাগে। তার শ্বাশুড়ি দৌড়ে জমিতে নেমে বাচ্চাটিকে পানির ভিতর থেকে উদ্ধার করেন। এ সময় জিয়ারুলের হাতে থাকা ধারালো ছুড়ি দিয়ে সে তার আড়াই বছর বয়সী মেয়ের পেটের ভিতরে ছুরি ঢুকিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সেই ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। পরে তিনি ছুরিটি তার নিজের পেটে ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় তার পেটের নারী-ভুড়ি বের হয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে তিনি কাতরাতে থাকেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বিলকিস বেগম তার নাতি ইয়াছিন ও ঘাতক জিয়ারুলকে উদ্ধারকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী জানান, আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড তার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ