Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগষ্ট মাসে দক্ষিণাঞ্চলের সরকারী হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত আরো সাড়ে ৫ হাজার মানুষ চিকিৎসা নিলেন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ৫:০৫ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২ উপজেলায় আগষ্ট মাসে আরো প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরষ ও শিশু সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহেই হাসপাতালগুলোতে আগতের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। আগষ্টের শুরু থেকে মধ্যভাগে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেলেও মাসের শেষ দশকে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মার্চের শুরু থেকে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল যুড়েই ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে। গত মার্চ থেকে ৩১ আগষ্ট দুপুর পর্যন্ত সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৩ হাজার ৭৪৩ জন। সরকারী হিসেবে এরমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৩ হাজার ২০৭ জন।

গত বছরও মার্চ থেকে আগষ্ট পর্যন্ত প্রায় ৭৫ হাজার ডায়রিয়া আক্রান্ত মানুষ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করলেও মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জনের। এবার মৃত্যু না থাকলেও আগষ্ট মাসের শেষে এসেও ডায়রিায়া পরিস্থিতির লক্ষনীয় উন্নতি হয়নি। বুধবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায়ও এ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতে আরো ১৯৮ জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য এসেছে। তবে এর বাইরে আরো কয়েকগুন ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক সহ চিকিৎসকদের নিজস্ব চেম্বারে ব্যাবস্থাপত্র নিয়ে বাসা বাড়ীতে চিকিৎসা গ্রহন করছেন বলে জানা গেছে।
গত কয়েক মাসে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী ছিল দ্বীপ জেলা ভোলাতে, ১১ হাজার ৫০৩ জন। এর পরের অবস্থান পিরোজপুরের। সেখানেও গত কয়েক মাসে ১০ হাজার ৭৫০ জন ডায়রিয়া রোগী সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন। বরিশালের অবস্থাও প্রায় একই। মহানগরী সহ ১০ উপজেলার এ জেলাটিতে ইতোমধ্যে ১০ হাজার ৩১২ জন সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য এসছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া পটুয়াখালীতে ৯ হাজার ৬২৮ জন, বরগুনাতে ৬ হাজার ১৮৮ এবং ঝালকাঠীতেও ৫ হাজার ৩৬২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত নারীÑপুরুষ ও শিশু সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গত ১ মাসে ভোলাতে ১ হাজার ১২জন, পিরোজপুরে ৮৭৭জন চিকিৎসা নিয়েছেন। বরিশালের অবস্থা আরো খারাপ। মহানগরী সহ এ জেলাটিতে গত একমাসে ১ হাজার ৭শ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসময়ে পটুয়াখালীতে সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৭শ। বরগুনাতেও ৩৩৬ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠীতেও গত এক মাসে ৪৩০ জন ডায়রিয়া রোগী ৪টি উপাজেলার সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা গ্রহন করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাগজেপত্রে ডায়রিয়া চিকিৎসায় ৪১৩টি মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান হলেও তার কোনটিতেই চিকিৎসক নেই। তবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, প্রতিটি মেডিকেল টিমের সাথেই একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেয়া আছে। যেকোন জরুরী প্রয়োজনে তারা মেডিকেল টিমের ডাকে সাড়া দিয়ে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলা ও ৪২টি উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্স সহ হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় প্রায় ১ হাজার সিসি’র প্রায় ৭৫ হাজার ও ৫শ সিসি’র ৩৮ হাজার ব্যাগ স্যালাইন মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। এছাড়াও প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক সহ প্রয়োজনীয় সব ওষুধের মজুদের কথাও বলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ