Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছে : ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী

মেহেদী হাসান মুরাদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি দোসররা। পরাজয়ের গøানি থেকেই মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ও শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ শীর্ষক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ (কাজী ওমর-জাহিদ) একাংশের আয়োজনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে নাই কোন সরকার। জিয়া যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত না থাকে তাহলে তারা কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করে নাই। জিয়া শুধু হত্যা করে নাই যারা হত্যা করেছে তাদের সবাইকে নিরাপদে বিদেশ যাবার ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন।
সভায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ডা. এস এ মালেক বলেন, মুসতাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই, তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। আর জিয়াকে সাহায্য করেছিলেন আওয়ামী লীগের কিছু লোভী মানুষ। জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের একজন এজেন্ট। তারা কখনো চায় নাই বাংলাদেশ নামক কোন দেশ হোক।
কুবি ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ব নেতা। তিনি দেশ স্বাধীন করে ক্ষান্ত হয়নি তলাবিহীন ঝুড়ির দেশকে গড়ার দায়িত্ব নিজ কাঁধে নেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করলেও তার আর্দশ ধারণ করতে পারি নাই। তার আর্দশের মধ্যে দুর্নীতি ছিল না। অনিয়ম ছিল না, কিন্তু আমরা এখনো দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারিনি।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন সহনশীল নেতা। তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম সকলের নেতা ছিলেন। সকল ধরনের মানুষকে তিনি মনে প্রাণে ভালবাসতেন। এই সর্বজনীন নেতাকে হত্যা করে ছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়া ক্ষমতায় আসার পর উনিশ বার অভ্যুত্থান হয়েছে। এতে তিনি সেনাবাহিনীর, নৌবাহিনীর অসংখ্য সদস্যদের হত্যা করেন। তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশে কোন স্বাধীনতাকামী সৈন্য না থাকুক। এতে কিছুটা সফলও হয়েছেন।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পাকিস্তানের সামরিক শাসক বঙ্গবন্ধুকে আটক করলে ও হত্যা করার সাহস দেখাতে পারে নাই, সেখানে এদেশের কিছু বিপথগামী মানুষ সেই দুঃসাহস কাজ করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে ছোট করেছে। সোনার বাংলা গড়তে হলে বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে ধারণ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ