Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অধিগ্রহণ বিল তুলেও ২১ বছর ধরে বহাল বসতঘর

মো. খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

ডেমরা-কালীগঞ্জ সড়কের রূপগঞ্জ এলাকায় এলজিইডির সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা জায়গায় গত ২১ বছর ধরে বহাল রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন পাকা বসত ঘর। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের অন্যান্য স্থানে প্রশস্থ ৩০ ফুট থাকলেও রূপগঞ্জ উপজেলা প্রধান ডাকঘরের পাশে রয়েছে মাত্র ২০ ফুট।
এতে করে সড়কের সরু অংশে নিত্য যানজটসহ যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। অভিযোগ রয়েছে, ‘ম্যানেজ করে’ উপজেলার প্রধান ডাকঘরের জমির উপর সড়ক নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব শেষ করেছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখা থেকে বিল উত্তোলন করেও গত ২১ বছর ধরে বসতঘর বহাল রেখেছেন রূপগঞ্জ সদর গ্রামের একটি পরিবার। উপজেলা অফিসের একটি সূত্র জানায়, সড়ক প্রশস্থ করার জন্য ওই পরিবারের লোকজন সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়েছে। ২০০১ সালে স্থাবর অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ১৯৮২ মোতাবেক তাদের ভোগদখল করা আরএস ৫৪৫ নম্বর দাগে এলজিইডির সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ৬ শতক জমির ক্ষতিপূরণ হিসাবে বিল উত্তোলন করেন ৯ লাখ টাকা।
একই সময়ে সড়ক নির্মাণ কাজের জন্য জমির অন্যান্য মালিকরা সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঘর ছেড়ে দেন। কিন্তু ওই পরিবারটি পাকা বসতঘরের অযুহাতে শুধুমাত্র আংশিক ভেঙ্গে সড়কের জন্য নামমাত্র জায়গা ছাড়ে। আর বাকি জমিতে পাকা বসতঘরে তারা বসবাস করছে।
এতে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ৩০ ফুট প্রশস্থের সড়ক রূপগঞ্জের সদর গ্রামের ওই অংশ সরুই রয়ে গেছে। আবার একপাশে শীতলক্ষ্যার ভাঙ্গনে সড়ক কিছুটা সঙ্কুচিত হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এই সড়কে চলাচলকারীরা। পাশাপাশি ভারি যানবাহনের কারনে ইতোমধ্যে সড়কে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ওই পরিবারের সদস্য শাহেদুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকার যতটুটু অধিগ্রহণ করেছে ততটুকু নিয়েছে। সরকারের প্রয়োজন হলে আরো ছাড়বো। আমি অন্যের জমি দখল করিনি। সড়ক নদীতে ভাঙ্গছে বলেই সরু হয়েছে।
উপজেলা প্রধান ডাক কর্মকর্তা শাহজালাল মিয়া বলেন, তিনি যোগদানের পর ৩০ শতক জমির মাঝে ১৭ শতক জমি পেয়েছেন। বাকি জমি কিছুটা নদী আর সড়কে পড়েছে। সড়ক কোন পজিশনে আছে তা নিয়ে উর্ধ্বতন মহলকে জানিয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এলজিইডির উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, স্বাভাবিক নিয়মে খালি বা পতিত স্থান পেলে বসতঘর রেখে সড়ক নির্মাণ করা হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পরিবারটি সরকারের কাছ থেকে জায়গার মূল্য হিসাবে বিল উত্তোলন করার পরও পাকা ঘর কিভাবে বহাল রেখেছে তা জানা নেই। তদন্ত করে শিগগির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ