পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে বগুড়া। এই পথেই রাতের আধারে কৃষকের আসল সার নকল ও ভেজাল হয়ে গেল। আর এই কেলেঙ্কারি ঘটানো হয়েছে সার বোঝাই ১৭টি ট্রাকে। দুই দফায় আসা এসব ট্রাকে ছিল ৪ হাজার ৭৬০ বস্তা টিএসপি সার। কিন্তু আসল সার পথিমধ্যে নকল ও ভেজাল কিভাবে হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাব ট্রাক চালক ও হেলপাররা দিতে পারেনি।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে দুই দফায় আসা ১৭টি ট্রাক বোঝাই সার বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) বগুড়াস্থ বাফার গুদামে আটক রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সার পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিন সদস্যের একটি টিম বগুড়ায় এসেছে। পরীক্ষার পর সার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে ১০টি ট্রাক এবং রোববার দিবাগত রাতে ৭টি ট্রাকে টিএসপি সার বগুড়ায় এসেছে। বগুড়া বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষ নকল এবং ভেজাল মিশ্রিত সন্দেহে ১৭টি ট্রাক আটকে রেখেছে। এর কারণ হচ্ছে ১৭টি ট্রাকে আসা সারের বস্তার সাথে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা টিএসপি সার কারখানার বস্তার সাথে মিল নেই।
বগুড়া বাফার গুদাম ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল ইনকিলাবকে বলেন, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা টিএসপি সার কারখানা থেকে ছেড়ে আসা সার বোঝাই ৭টি ট্রাক গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বগুড়ায় পৌঁছায়। ট্রাকগুলোতে ছিল ৯৮ হাজার কেজি টিএসপি সার। প্রতিটি ট্রাকে ছিল ২৮০টি করে বস্তা।
গত সোমবার সকালে ওই সব ট্রাক থেকে ২৪ বস্তা সার নামানো হয় পরীক্ষার জন্য। এ সময় বস্তা দেখে সন্দেহ হয়েছে এগুলো নকল ও ভেজাল। এরপর সারসহ ৭টি ট্রাক আটক করে রাখা হয়। পরবর্তীতে সোমবার দিবাগত রাতে একই স্থান থেকে সার নিয়ে আরও ১০টি ট্রাক আসার পর সেগুলোও নকল সন্দেহে আটক করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আসা ট্রাকগুলোতে ছিল ১৪০ মেট্রিক টন সার।
মোস্তফা কামাল আরো বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম টিএসপি সার কারখানা কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সার পরীক্ষা করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে তিন সদস্যের একটি টিম বগুড়ায় এসেছে।
তিনি আরও জানান, এসব সার পরিবহন করেছে রংপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএইচআর করপোরেশন। ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম থেকে বগুড়া আসার পথে রাতে যে কোনো সময় কোথাও আসল টিএসপি সারের বস্থা নামিয়ে নকল বস্তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।