পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে গুমের শিকার সব নিখোঁজ ব্যক্তিকে দ্রুত খুঁজে বের করে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। ‘গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষ্যে গতকাল এক বিবৃতিতে সরকারের কাছে আসক এ আহ্বান জানানো হয়।
আসকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বারবার বলপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে পরিবার, স্বজন বা প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, সাংবাদিক বা মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যানুসন্ধানে গুমের সুস্পষ্ট অভিযোগ উঠে এসেছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তুলে নেওয়ার কিছুদিন পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলেও গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা আসকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ২৮ জন গুমের শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনেরা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫ জন ফেরত এসেছেন। অন্য ব্যক্তিরা এখনো নিখোঁজ।
মানবাধিকার সংস্থা আসক বিবৃতিতে সরকারের কাছে ৬টি দাবি জানায়। গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি তারা গুম-সংক্রান্ত অভিযোগের একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি করে। এ ছাড়া গুমের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন, দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, গুম-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষর করা এবং এ ধরনের ঘটনার বিচার নিশ্চিতে আইনকাঠামোতে পরিবর্তন আনার দাবি করে।
আসক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি করে। সেগুলো হলো গুমের ঘটনগুলোর অভিযোগগুলোর তথ্যানুসন্ধান, ভুক্তভোগী বা তাঁদের পরিবারকে আইনি ও নৈতিক সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলো অভিযোগ নিয়ে একটি জাতীয় শুনানির আয়োজন করা। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।