Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কেটের দোকান ফিরে পেতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল সমবায় ব্যাংকের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী খানের দুর্নীতি এবং সমবায় সুপার মার্কেটে নিজেদের দোকান ফিরে পেতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে পুরাতন ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার ২৯ আগস্ট দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধন শেষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো: আতাউল গনির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমবায় মার্কেটের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক খান, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, নার্গিস আকতার, গোলাম মোহাম্মদ খান প্রমুখ।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা বলেন, কুদরত-ই-এলাহী দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সমবায় ব্যাংকের সভাপতি হয়েছেন। অধিক লাভের আশায় তিনি সমবায় মার্কেটের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন করে সাবেক ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে নতুনদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। রায় আমাদের পক্ষে রয়েছে। তারপরও স্বঘোষিত কুদরত-ই- এলাহী খান নানা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তারা আরও বলেন, ১৯৮০ সালে ১৫৫ জন দোকান মালিক জামানতের টাকায় সমবায় মার্কেট তৈরি করি। ৪১ বছর তারা ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। এতো অল্প সময়ে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ বা পরিত্যাক্ত হয়নি। তারপরও প্রভাব খাটিয়ে ২০১৬ সালে পুরাতন মার্কেটটি ভেঙে নতুন মার্কেট তৈরির উদ্যোগ নেয় সমবায় কর্তৃপক্ষ। এতে ১৫৫টি পরিবার তথা ৩০০জন বিক্রয় কর্মী বেকার হয়ে পড়েন। এরপর ৮ বছর পেড়িয়ে গেলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে ১৯ জন ব্যবসায়ী মৃত্যুবরণ করেছেন। অনেক দোকান মালিক অন্যের দোকানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করে পরিবার চালাচ্ছেন। অনেক মালিক ব্যাঙ্ক ঋণ, এনজিও ঋণ, মহাজনি ঋণ দিতে না পেরে ভিটা বাড়ি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। ইতোপূর্বে ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি ও অসুবিধার কথা জানিয়ে সমাধানের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ