বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আইয়ুব আলী, চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম অঞ্চলে শীত মৌসুমে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। বর্তমানে দেশে এক কোটি সাড়ে ৩২ লাখ জনগোষ্ঠী ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে নতুন সংযোজন হয়েছে মাঙ্কি ম্যালেরিয়া। এক সময় এরকম ম্যালেরিয়া বানরের হতো। বন-জঙ্গল উজাড়ের কারণে এখন এটি মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হচ্ছে। এ ছাড়া ম্যালেরিয়া জ্বর থেকে কিডনি ও ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ম্যালেরিয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। মশার উৎপত্তিস্থল বন্ধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ম্যালেরিয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার পাল জানান, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে সারাদেশে এ রোগে মারা গেছে ১৭ জন। এর মধ্যে ১০ জন মারা গেছে বৃহত্তর চট্টগ্রামে। গত বছর সারাদেশে এ সংখ্যা ছিল ৯ জন। তুলণামূলকভাবে মৃতের সংখ্যা বাড়লেও মারাত্মক ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। ২০১৫ সালে যেখানে ৩৯ হাজার ৭১৯ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল এবার তা ৮ মাসে ২১ হাজার ২৩২ জন। চট্টগ্রামে ২০১৫ সালে এক হাজার ২৩ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। তবে ৮ মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫৬৫ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ম্যালেরিয়াজনিত কারণে বিশ্বে ২১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ অসুস্থ হয় এবং চার লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যায়।
যাদের বেশির ভাগের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। চলতি বছর মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে বান্দরবানে ছয়জন, রাঙ্গামাটিতে তিনজন, চট্টগ্রাম জেলায় তিনজন ও কক্সবাজারে একজন। বর্তমানে দেশে এক কোটি সাড়ে ৩২ লাখ জনগোষ্ঠী ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা উচ্চ ঝুঁকিপ্রবণ, কক্সবাজার-রামু-উখিয়া ও সদর মধ্য ঝুঁকিপ্রবণ ও নয়টি জেলা নি¤œ ঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। ম্যালেরিয়াপ্রবণ উপজেলা ৭১টি। উচ্চ ও মধ্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ৩৩ লাখ ৪০ হাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।