Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় খায়রুজ্জামান লিটন ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক-অভিন্ন’

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪৬ পিএম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ এক, সমার্থক, অভিন্ন। বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। আবার বঙ্গবন্ধুকে জানলে বাংলাদেশকে জানা হয়ে যাবে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পর্যন্ত রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন মহানায়ক। তাইতো আমরা তাকে শুধু হাজার বছরের বাঙালি নয়, সর্বকালের র্সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে অভিহিত করি, বিশ^বাসীও আখ্যায়িত করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, স্বাধীনতার পর দেশকে গড়ার মাত্র ৩ বছর ৮ মাস সময় পেয়েছিলেন বঙ্গববন্ধু। এই অল্প সময়ের মধ্যেই দেশকে গড়ার বিভিন্ন কাজের সূচনা করেছিলেন তিনি। একসাথে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করেন। শেল কোম্পানির কাছ থেকে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করেন বঙ্গবন্ধু। সেই গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে এখনো গ্যাসের জোগান পাচ্ছি।
কমিশন গঠনের জোরালো দাবি উঠেছে জানিয়ে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কারা কারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ব্যক্তি এবং কারা কারা সুফলভোগী তাদের খুঁজে বের করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় এদেশীয় এজেন্টদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিল এক নম্বর। জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার ছাড়া আরো অনেক সুফলভোগী আছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের প্রাক্তন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় মূল আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি প্রফেসর নুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপিকা জিনাতুননেসা তালুকদার, কবিকুঞ্জ, রাজশাহীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, গেরিলা বাহিনী, ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি, রাজশাহী জেলার সমন্বয়ক বীর মুুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. সাইদুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধ ৭১, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল। #



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ