Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিধবার ঘর ভাঙচুর ও লুট, অতঃপর থানায় চুরির মামলা

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিরোধের জের ধরে মিরুখালীর ছোট হারজী গ্রামের বিধবা মঞ্জু রানী বেপারীর (৬২) শতবর্ষী ঘর ভাঙচুর করে লুট করার অভিযোগ উঠেছে সুব্রত বেপারী, সুভাষ বেপারীসহ আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে। থানায় যোগাযোগ করলে মামলা নিতে গড়িমসি করেন। পরবর্তীতে পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে থানা ভাঙচুর ও লুট মামলা না নিয়ে চুরি মামলা নেয়। বিধবা মঞ্জু রানী বেপারী মিরুখালীর ছোট হারজী গ্রামের মৃত শিবাশীষ বেপারীর স্ত্রী। গত শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবে বিধবা মঞ্জু রানী বেপারীর দেবর স্বপন কুমার বেপারী এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্য ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিবাশীষ বেপারীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও ২ ছেলে ব্যবসায়িক কারণে যশোরে অবস্থা করায় তাদের বসত ঘরটি তালাবদ্ধ থাকে। এ সুযোগে শিবাশীষের চাচাতো ভাই সুব্রত বেপারী গং এর লোলুপ দৃষ্টি পরে এই বসত বাড়ির ওপর। গত ২২ আগস্ট ভোর ৫টায় সুভাষ বেপারীর নেতৃত্বে ১৮ থেকে ২২ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বিধবা মঞ্জু বেপারীর ঘরটি ভেঙে মাটিতে গুড়িয়ে দেয়। এরপরে তারা ঘরের মূল্যবান কাঠ টিন, ঘরের রক্ষিত মূল্যবান খাট আলমিরসহ দশ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সময় মঠবাড়িয়া থানায় বারবার যোগাযোগ করলেও থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে ৯৯৯ নাইনে ফোন দিলে অতঃপর পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। ততক্ষণে দুর্বিত্তরা মালামল নিয়ে পালিয়ে যায়। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, এ ব্যপারে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ গড়িমসি করতে থাকে। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কৃতপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরে থানা পুলিশ চুরি মামলা নেয়।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, বাদী যেভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আমরা মামলা সেভাবে নিয়েছি। ওই সময় তাৎক্ষনিকভাবে দু’জনকে ধরে আদালতে সোপর্দ করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ