বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয় ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় রবিবার বিকালে শহর উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সামনে এসব হামলা ও অস্ত্রের মহড়া চলেছে। সন্ত্রাসীদের বাঁধার কারণে প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেনি জেলা বিএনপি।
এদিকে যশোর সদরের রুপদিয়া বাজারে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে। এর আগে, সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাতে বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য উপজেলার বলরামপুর গ্রামের এস এম আকরাম হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি মডেল থানার এস আই নাজমুল হাসান জানান, আটকৃতদের রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, রবিবার আমাদের ২৮ জন নেতা-কর্মীকে আটকের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত থেকে বাড়িতে ফেরার পথে শহরের দড়াটানায় আমার গাড়ি ভাংচুর করে পুলিশের সামনে। পরে আমার বাড়ি ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। জেলা যুব লীগের নামধারী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, পৌরসভার কাউন্সিলর টাক মিলন, হিটার নয়ন, রাজিবুলের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটণা ঘটেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দেখিয়ে অন্তত ৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা পুলিশের মদদে আমাদের দলীয় কার্যালয় ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তারা লাঠি হাতে অস্ত্রের মহড়া দেয়।
এব্যাপারে জেলা যুবলীগ নেতা ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা কোথাও হামলা করেনি, বিএনপিকে প্রতিরোধ করেছি।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, যুবলীগ ও বিএনপির মধ্যে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। আমরা কাউকে অরাজকতা করতে দেয়নি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে আছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা একাধিক মোটর গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এ হামলা চালায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।