পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধে সোমবার (২৯ আগস্ট) থেকে আবারও কঠোর অভিযান চালাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ রোববার বিকেলে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘গত ২৬ মে অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করি আমরা। ওই সময়ে ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে নিবন্ধন পেয়েছে এক হাজার ৪৮৯ টি। এ ছাড়া নবায়ন করেছে ২ হাজার ৯৩০ টি। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা।’
আহমেদুল কবীর বলেন, ‘দুঃখজনক ব্যাপার হলো, দীর্ঘ তিন মাস সময় দেওয়া হলেও এখনো প্রায় চার হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করেনি। এর মধ্যে শর্তপূরণ না করায় নিবন্ধনের অপেক্ষায় ১ হাজার ৯৪৬টি এবং নতুন করে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে দুই হাজার প্রতিষ্ঠান। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিন মাস পর আবারও মাঠে নামতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই তিন মাসে যারা নিবন্ধন পায়নি, এমন হাসপাতালও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি কিংবা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না। যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনো ত্রুটিপূর্ণ।’
স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করতে পারব। এরপরের অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে, তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা দেখব। এরপর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে এবং তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে, যাতে মানুষ জানতে পারে, কোন হাসপাতাল কোন মানের। এরপর থেকে বেআইনিভাবে পরিচালিত হাসপাতালে কেউ চিকিৎসা নিয়ে প্রতারণার শিকার হলে সে দায় অধিদপ্তর নেবে না।’
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘আগামী এক মাসের মধ্যে অভিযান শেষ করতে চাই। এ জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। তারা সেবা দিতে চাইলে আগে নিবন্ধিত হতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেবার বড় একটি অংশ, সেগুলোকে সঠিক নিয়মের মধ্যে আনতে আনা না পারলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে না মানুষ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।