পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশের অভিযানের দুই দিনের মাথায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফু-ওয়াং ক্লাবে ফের অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযান শেষে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টায় অভিযান শুরু হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ হয়। এর আগে গত সোমবার পুলিশ অভিযান চালালেও তারা কোন অনিয়ম না পেয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে ফু-ওয়াং ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, এখানে অনুমোদিত মাদকের বাইরে ৩ শতাংশ অবৈধ মাদক মজুত করে রেখেছিল তারা। যার কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই। তিনি জানান, ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে দুই হাজারের মতো বিদেশি মদের বোতল ও ১০ হাজার হান্টার ক্যান এবং নগদ সাত লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাবের তিন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেনÑ জাহিদ, জেবিয়ার জেরি ডি. কস্টা ও চঞ্চল। ফু-ওয়াং ক্লাবের সদস্য ছাড়াও বাইরের অনেকেই সেখানে যেতেন এবং মাদক সেবন করতেন বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলেন, এখানের মাদকদ্রব্য বাইরেও বিক্রি করা হতো এবং এই ক্লাবের সদস্য নন তারাও এখানে এসে মাদক সেবন করতেন। অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান ও নিজাম উদ্দীন। ক্লাবটি ইতোমধ্যে সিলগালা করে দিয়েছে র্যাব। এ ছাড়া মালিকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও মামলা হবে।
এর আগে গত সোমবার ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসে পুলিশ। সেখানে ক্যাসিনো কিংবা কোনো অনিয়ম পায়নি। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু হয়। সে সময় কোনো ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর পায়নি পুলিশ। যদিও ক্লাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া ও ক্যাসিনো চলছিল বলে অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ।
সোমবার অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই ক্লাবে ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার মতো কোনো আলামত পায়নি পুলিশ।
পুলিশের অভিযানের পর ক্লাবটির ম্যানেজার মো. শামীম বিল্লাহ দাবি করেছিলেন, আমি গত ৩ বছর এখানে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত আছি। এখানে মদের বার রয়েছে। সেটির লাইসেন্সও আমাদের কাছে আছে। এছাড়া এখানে জিমনেশিয়াম রয়েছে। তবে এখানে কোনও ক্যাসিনো বা জুয়া খেলা হয় না।
পুলিশের অভিযান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে র্যাব কর্মকর্তারা জানান, আগে অপারেশন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমাদেরটা আমরা করতে চাই। বৈধ জিনিসের সঙ্গে অবৈধ কিছু থাকলে তাও অবৈধ হয়ে যায়।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।