Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড্রেন নির্মাণের কাজ এখন ‘গলার কাঁটা’

মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ বাজার শম্ভুক গতিতে দুর্ভোগ চরমে

মো. মনির হোসাইন, মুরাদনগর (কুমিল্লা) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ড্রেন নির্মাণ কাজ স্থানীয়দের কাছে ‘গলার কাঁটা’। এ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল ‘কাগজপত্রে’ বাজারে মাটি খোঁড়খুঁড়ির মধ্যদিয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু বাস্তবে কাজের অগ্রগতি বলতে তেমন কিছুই নেই।

ড্রেন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হচ্ছেন বাজারের বণিক সমিতির আহ্বায়ক চন্দন বনিক। ফলে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের মনে কাজের গুণগত মান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২১৮ মিটার লম্বা ড্রেন নির্মাণের খরচ ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৫ টাকা। ইতোমধ্যে ড্রেন নির্মাণের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ফের আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢিমেতালে কাজ চলায় আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে ব্যবসায়ীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কোম্পানীগঞ্জ বাজার আশেপাশের ৬টি উপজেলার ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র। বৃহত্তম পাইকারি বাজার থেকে মালামাল কিনে পাইকাররা নিয়ে যায় কোম্পানীগঞ্জের আশেপাশের ৬ উপজেলায়। তাছাড়া সাপ্তাহিক রোববার ও বৃহস্পতিবার থাকে এই বাজারের নির্ধারিত হাট। এই দুই দিনের হাটে লোকসমাগম অন্যান্য দিনের তুলনায় ১০ গুণ বেড়ে যায়।

মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক থেকে গোমতী নদী বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বাজারের দুই পাশের গলির মাটি খুঁড়ে রাস্তার মাঝখানে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে করে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি এখন নিত্যসঙ্গী। বাজারের গলি দিয়ে রিকশাসহ কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। মো. ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ড্রেন নির্মাণ শম্ভুক গতিতে চলায় গত দুই ঈদে কাঙ্খিত ক্রেতা মেলেনি।

ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের দাবি, মুরাদনগর, দেবিদ্বার, নবীনগর, বুড়িচংসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ বাজার সবচেয়ে বড়। প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির অঙ্ক আরো বেড়ে যাবে।

কোম্পানীগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক চন্দন বণিক ড্রেন নির্মাণ কাজ সম্পর্কে বলেন, ‘বৃষ্টির জন্য কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন সমস্যার কারনে প্রকৃত ঠিকাদার পালিয়ে গেছে। এর ফলে বাজারের উন্নয়নের কথা ভেবে আমাকে কাজটি করতে হচ্ছে’।

অপরদিকে প্রকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল হাছান-এর সত্ত্বাধিকারী নাজমুল হাছান বলেন, কাজটি আমি বনিক সমিতির আহ্বায়ক চন্দন বনিককে দিয়েছি। মুরাদনগর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ড্রেনের নিচের বেইস ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হলেই দ্রুত ড্রেন নির্মাণ শেষ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ