বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আমন মৌসুমের শুরুতেই সার সঙ্কট দেখা দিয়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে ব্যবসায়ী ও দোকানগুলোতে মিলছে না এমপিও সার। ডিলারদের কাছে কিছু পাওয়া গেলেও কৃষকদের কিনতে হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে। এছাড়াও বেড়েছে ইউরিয়া সারের মূল্য। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কীটনাশকের দাম। সবকিছু মিলিয়ে আমন আবাদে বাড়তি খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের কপালে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৫ মেট্রিকটন। এবার ৫ লাখ ৮ হাজার ৪৯৩ জন কৃষক আমনচাষে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু ডিজেল এবং ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধিসহ হালচাষে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভাবনায় দিন কাটছে তাদের।
জানা গেছে, এবার আমন চাষাবাদে ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে ৯২ হাজার ৩০৬ মে. টন। টিএসপি টিএসপি ২২ হাজার ৮৭১ মে. টন, ডিএপি ৪৩ হাজার ৪৩৩ মে. টন, এমওপি ৫২ হাজার ১৯৫ মে. টন, জিপসাম ৩৬ হাজার ৪৭২ মে. টনসহ অন্যান্য সার। এর মধ্যে জেলায় ইউরিয়া সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৫৫ হাজার ২ মে. টন, টিএসপি ১০ হাজার ৪৪৬ মে. টন, ডিএপি ১৫ হাজার ৪৫৭ মে. টন, এমওপি ২৩ হাজার ৮৮৭ মে. টন এবং জিপসাম ১৪ হাজার ৬৫৬ মে. টনসহ চাহিদার অর্ধেক অন্যান্য সার। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ার সুযোগে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে দেড় থেকে দুইগুণ অধিক মূল্যে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করছেন ডিলার এবং ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে এমওপি সারের দাম বাড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি কিন্তু এক প্রকার বাধ্য হয়ে তা কিনছেন প্রন্তিক কৃষকরা।
এদিকে সারের পাশাপাশি দ্বিগুণ মূল্যে ডিজেল ও কীটনাশক কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদন খরচ নিয়ে চিন্তিত কৃষক। একসাথে কৃষির সাথে সম্পর্কিত সবধরণের জিনিষপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের এখন নাভিশ্বাস অবস্থা।
নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের কৃষক হারেজ আলী জানান, তিনি ১০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। এখন জমিতে অন্যান্য সারের সাথে পটাশ সার দিতে হচ্ছে কিন্তু বাজারে পটাশ সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সময়মতো সার দিতে পারছেন না জমিতে। দ্বিগুণ দামে এমওপি সার বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায় কয়েকটি সার ডিলারের দোকানে।
নাগেশ্বররী কচাকাটা বাজারে কেদার ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স কাশেম ট্রেডাসে গিয়ে দেখা যায় দ্বিগুণ দামে এমওপি সার বিক্রি করছেন। এখানে ডিলারের নিযুক্ত ব্যক্তি সাইদুল ইসলাম জানান, বেশি দামে সার বিক্রি করা ঠিক না তার দোকানের কর্মচারী ভুলে বিক্রি করে ফেলেছে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. শামসুদ্দিন মিঞা জানান, চাহিদার তুলনায় সারের কম বরাদ্দ পাওয়ায় কিছুটা সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এ সঙ্কট কিছু দিনের মধ্যে কেটে যাবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।