প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এক দিনের রিমান্ড শেষে অভিনেত্রী-গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনের টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই প্রতারক রবিউল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এদিন রবিউলকে আদালতে হাজির করা হলে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রবিউলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার প্রতারক রবিউল ইসলামের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, জনৈক প্রতারক নিজেকে ডেপুটি স্পিকার পরিচয় দিয়ে শাওনকে ফোন করে জানান, নুহাশপল্লীর উন্নয়নবাবদ অস্ট্রেলিয়া থেকে বড় অংকের একটি ফান্ড এসেছে, যা বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের মোবাইল নম্বরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। শাওন ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে অন্য প্রান্ত থেকে নিজেকে উপসচিব পরিচয় দিয়ে ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য সরকারি ফি বাবদ ৩১ হাজার ৮৫০ টাকা দিতে বলেন। ফাঁদে পা দেন শাওন। টাকা দিয়ে দেন প্রতারককে। প্রতারকের নম্বর বন্ধ পেয়ে বিষয়টি বুঝতে পেরে নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। এরপর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. রবিউল ইসলামকে (৪১) গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা চারটি সিমকার্ড জব্দ করে ডিবি।
আরো জানা গেছে, প্রতারক রবিউল ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন কৌশলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদেরকে কখনো ডেপুটি স্পিকার, কখনো বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয় দিয়ে ফোন করতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বিদেশি অনুদানের প্রলোভন দেখিয়ে সরকারি ভ্যাট, ট্যাক্স ও প্রসেসিং ফি-এর নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখতেন। এভাবে তিনি শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রবিউলের নামে আরও বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। আরও মামলা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।