পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য লাগসই ডিজিটাল সংযোগ ও ডিজিটাল ডিভাইস অপরিহার্য। এরই মধ্যে ২৬ হাজার পর্নসাইট ও ছয় হাজার জুয়ার সাইট আমরা বন্ধ করেছি। ইন্টারনেট ও স্মার্ট ফোন শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেট এখন মানুষের জীবনধারায় অনিবার্য একটি বিষয় হিসেবে জড়িয়ে আছে।’
মন্ত্রী শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত ‘রিজিলিয়েন্ট ইন্টারনেট ফর এ শেয়ার্ড সাসটেইনেবল অ্যান্ড কমন ফিউচার : অ্যাক্সেস অ্যান্ড কানেকটিভিটি, কমিউনিটি নেটওয়ার্কস, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল ইনক্লুসন’ শীর্ষক অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং বিআইজিএফ চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইন্টারনেট সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করার পাশাপাশি সবচেয়ে কম মূল্যে স্মার্ট ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইন্টারনেটের একদেশ এক রেট চালু করেছি। দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন এরই মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লাইব্রেরি হচ্ছে ইন্টারনেট। কাউকে এ থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের খারাপ দিকও আছে আবার খারাপ দিক থেকে রক্ষার উপায়ও আছে। সেটা থেকে ছেলে মেয়েদের সুরক্ষায় অভিভাবকদেরকেই ভূমিকা নিতে হবে। প্যারেন্টাইল গাইড ব্যবহার করে ইন্টারনেট শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ২৬ হাজার পর্নসাইট ও ছয় হাজার জুয়ার সাইট আমরা বন্ধ করেছি। প্রাথমিক স্তরে বই ছাড়া ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে আমি লেখাপড়ার কনটেন্ট তৈরি করেছি। দেশের ৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তা চালু করা হচ্ছে। আমি রাস্তাটা দেখালাম অন্যরা তা অনুসরণ করবে। সন্তানদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের সুযোগ না দিলে আগামী পৃথিবীতে তারা টিকে থাকার জন্য অযোগ্য হয়ে পরবে।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। ইন্টারনেট প্রযুক্তি দেশে নতুন অর্থনীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষক- শ্রমিক, প্রবাসী এবং গার্মেন্টেসর নারী কর্মীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি।’
বিএনএনআরসি’র সিইও এএইচএম বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির, আইজিএফ’র সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল হক অনু, ইয়থ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপারসন সৈয়দা কামরুন জাহান রিপা এবং কিডস ইন্টানেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপারসন আয়শা লাবিবা প্রমূখ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।