বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের চাপ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবনে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ সময় স্ত্রী বিথী আক্তার মারা গেলেও স্বামী ওমর ফারুক সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিথী ওমর ফারুকের ছোট স্ত্রী বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে ফল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বিথীকে বিয়ে করে পাশের হালদার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে তাদের সংসারে কলহ চলছিল। এছাড়া তারা বিভিন্ন এনজিও এবং সুদি মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ নেন। বর্তমানে ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় বেশির ভাগ সময় দোকান বন্ধ রেখে তিনি বাসাতেই থাকতেন। গতকাল সকালে তারা দু’জন এক সাথে ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেন। স্থানীয়রা প্রথমে তাদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিথী আক্তার মারা যান। ওমর ফারুক বর্তমানে রাজশাহী নিউ লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার অনেক টাকা ঋণ রয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া একাধিক বিয়ে করা নিয়েও পারিবারিক কলহ ছিলো বলে জানা গেছে।