Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমতলীতে শিক্ষা কর্মকর্তার কর্মকান্ডে শিক্ষকদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তালুকদার মো. কামাল, আমতলী (বরগুনা) থেকে : আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতিতে শিক্ষকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৬ বছরেও তার বদলী না হওয়ায় শিক্ষকরা বলছেন তার খুঁটির জোর কোথায়? বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মস্তফা আমতলী উপজেলার ৭টি কলেজ, ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৯টি দাখিল মাদ্রাসা থেকে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে ও টিউশন ফি থেকে তার নির্ধারিত অঙ্কের পার্সেন্টিজ, ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ও নিয়োগে মোটা অংকের উৎকোচ এবং বিভিন্ন মিটিং-এর সময় সম্মানী ভাতা ও লাঞ্চ না দিয়ে নিম্নমানের আপেল, সিঙ্গারা/ ছমুচা ও চা ১৫/২০ টাকা খরচ করে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ, উপজেলায় প্রায় শতাধিক কোচিং বাণিজ্য কেন্দ্র থেকে ৫/১০ হাজার টাকা মাসোয়ারা আদায় এবং সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে যোগশাজসে নিয়ম না থাকলেও শিক্ষকদের মাসিক বেতন বিল সিটের পাশে সুপারিশ করার জন্য উৎকোচ গ্রহণ এবং ৮ম শ্রেণ০ী, ১০ম শ্রেণী, এইচএসসি ও বিএ এবং দাখিল ৮ম, দাখিল ১০, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো থেকে মোটা অংকের উৎকোচ আদায় করে আসছে। ২০১৬ সালে উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে ননম আমজেদিয়া আলীম মাদ্রাসা, তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সেকায়েফ থেকে প্রতিষ্ঠানের উদ্দীপনা পুরস্কার হিসেবে ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেন, সে টাকা থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ২৫/৩০ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণসহ নানা ধরনের দুর্নীতি করে আসছেন। এতে শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। উল্লেখ্য, শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মস্তফা বিগত ০১/১২/২০১০ইং তারিখ আমতলী উপজেলায় যোগদান করেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩ বছরের মধ্যে বদলীর আইন থাকলেও শক্ত তদবীরের মাধ্যমে বারবার তিনি তার বদলী ঠেকিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ৬ বছরেও তার বদলী না হওয়ায় শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করছেন উনার খুঁটির জোর কোথায়? আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া রহিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপারেন্ট আবু আব্দুল্লাহ ফারুক জানান, ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদনের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট গেলে সে মোটা অংকের টাকা দাবি করে, আমি এত টাকা দিতে অস্বীকার করলে ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন দেয়নি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে (০১৭১৫০২৪৯৭৯) যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী ৩ বছরের মধ্যে বদলীর নিয়ম কিন্তু কীভাবে ৬ বছর আছে তা আমার জানা নেই কিন্তু বদলী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাতে। দুর্নীতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকদের কাছে শুনেছি, কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ