Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ষোল বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি যবিপ্রবির শাটল ট্রেনের স্বপ্ন

শাহেদ রহমান, যশোর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শাটল ট্রেনের মহাপরিকল্পনা দীর্ঘ ষোল বছরে বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যাতায়াতের সুবিধার্থে শাটল ট্রেন চালুর জোর দাবি তুলেছে। যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সময় ও অর্থ খরচ কমবে শাটল ট্রেন চালু হলে। একই এলাকার আরো উন্নয়ন হবে বলে অভিমত সচেতন মহলের।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে শাটল ট্রেন চালুর মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যবিপ্রবির প্রথম ভিসি প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সরকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত শাটল ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেন। কিন্তু ভিসির মেয়াদ শেষ হওয়ায় উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর আসেন ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার। তিনি পরিকল্পনা নেন যশোর বিমান বন্দর হয়ে ঝাউদিয়া, বাদিয়াটোলা, নলডাঙ্গা, বাগডাঙ্গা, দৌগাছিয়া গ্রামের ওপর দিয়ে যবিপ্রবির ক্যাম্পাস পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণের। যাতে বিমান থেকে নেমে সকলে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারেন। রাস্তাটি নির্মাণের সাথে এই এলাকা দিয়ে একটি ইকোনমিকস ভিলেজ এবং ইপিজেড প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা ছিলো তার। তিনিও চাকরি জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার পর এসব পরিকল্পনা থমকে যায়। অথচ ওই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতো ও ব্যবসা বাণিজ্যের দ্রুত প্রসার ঘটার সম্ভাবনা ছিলো।
যবিপ্রবি শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, যশোর শহর থেকে বাস বা অন্য যানবাহনে চড়ে ক্যাম্পাসে যেতে অনেক অসুবিধা বোধ করি। সাধারণ বাসে গেলে ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হয় মেয়েদের। আবার কোনোভাবে বাসা থেকে একটু দেরি করে বেড় হলে ক্যাম্পাসে যেয়ে দেখি একটি ক্লাস শেষ। শাটল ট্রেন চালুর জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, যবিপ্রবিতে শাটল ট্রেন চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত দিনে শাটল ট্রেন চালুর দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। শাটল ট্রেন চালু করা হলে বৃহত্তর যশোর ও খুলনা থেকে আগত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতে অনেক উপকৃত হবেন।
ফলে পরিবহন খরচ কমে যাবে। অবসরে চলে যাওয়া দুই জন ভিসির মতো শাটল ট্রেন চালুর বিষয়ে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ