বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় ক্ষুব্ধ সিলেট বিভাগের অর্ধশতাধিক সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। কারণ গ্যাসের লোড বাড়াচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। লোডের আর্জি জানালেও পাত্তাই দিচ্ছে না তারা। বরং লোড বাড়ানোর আর্জি করাই বন্ধ করে দিচ্ছে সিএনজি পাম্প। গত কয়েকদিনে সিলেটের একাধিক সিএনজি স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে আরো কয়েকটি বন্ধ করা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগের সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মেসার্স মনোয়ার সিএনজি, মেসার্স সুরমা অটো কেয়ার, মেসার্স ইনডিপেনডেন্স সিএনজি, মেসার্স আখালিয়া সিএনজি, মেসার্স হাজী ইউসুফ আলী সিএনজি। আজ আরো বন্ধের অপেক্ষায় আছে আল আমিন সিএনজি ও মেসার্স সুশাসান সিএনজি। অথচ গ্যাস সঙ্কটের সার্বিক বিষয়ে জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসককেও।
সিএনজি পাম্পের মালিকরা জানিয়েছেন, সড়কে গাড়ি বেড়েছে। সবাইকে গ্যাস দিতে হচ্ছে। এখন লোড বাড়ানোর অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে পাম্প। সিলেটে গ্যাস পাম্পের সঙ্কট সমাধানে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে একটি (ডিও) পত্রও পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। কিন্তু কোন সুষ্ঠু সমাধান হয়নি। সূত্র জানায়, গত ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ব্যবসায় বিরাজমান সুবিধা-অসুবিধাসমূহ লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, জ্বালানি খাত সরকারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতের সাথে জড়িত সিএনজি স্টেশন মালিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। সিএনজি স্টেশন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক উত্থাপিত সমস্যাসমূহ সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকগণ গ্যাসের অনুমোদিত লোড বৃদ্ধির জন্য জালালাবাদ গ্যাস, পেট্টোবাংলাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রির কারণে বিভিন্ন সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেয়া হচ্ছে। যার জন্য সিলেটসহ সারাদেশের সিএনজি স্টেশন মালিকগণ খুবই উদ্বিগ্ন ও হতাশ। তাই তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।