বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিয়ানীবাজার পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ সম্পন্ন হলেও পৌরসভা তা গ্রহণ করছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বারবার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে এ নিয়ে তাগিদ দিলে মেয়র বিষয়টি খতিয়ে দেখে তা গ্রহণ করবেন বলে ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠানকে জানান। মেয়র ফারুকুল হক এর আশঙ্ককা এখানে পুকুর চুরির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
এ নিয়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৫ জন কাউন্সিলর ও ২ জন প্রকৌশলীকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিয়ানীবাজারের ফতেহপুর মৌজায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপণ করে এবং পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন বসানো হয়।
বিগত মেয়রের আমলে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিয়ানীবাজার পৌরসভার নাগরিকদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন ও পাইন লাইন বসানোর কাজ পায়। আর তা শেষ করে মাত্র কয়েক দিন আগে। নতুন মেয়র দায়িত্ব পাওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ বুঝিয়ে দিতে মেয়রের সাথে বার বার দেখা করেন। কিন্তুু মেয়র সরেজমিন পরিদর্শণ করে কাজের কিছু অসংগতি খুঁজে পান। তাই বিলের ছাড়পত্র না দিয়ে তা খতিয়ে দেখার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। সরেজমিন বিয়ানীবাজার পৌরসভার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, উদ্বোধনের আগেই পানির নিচে শ্যাওলা ধরে গেছে। প্লান্টের পানি যেভাবে উন্মূক্ত ভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে বানরসহ বিভিন্ন প্রাণীর গোসলের নিরাপদ স্থান হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের বাস্তব যে অবস্থা তাতে নিরাপদ পানি মানুষ পাবে না। খোলা আকাশের নিচে পানির ট্যাংক বসানো অযৌক্তিক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা নুর উদ্দিন জানান, অরক্ষিত ও খোলা ভাবে পানির ট্যাংক থাকায় এখানে বানর দলে দলে গিয়ে গোসল করার পাশাপাশি ইঁদুর, পাখিসহ বন্যপ্রাণীরা পানিতে পড়ে পানি দূষিত হবে। তার মতে, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি এখানে ঢাকনা না দেয়, তাহলে পৌরবাসী বিশুদ্ধ পানি পাবেন না। তার সাথে একমত পোষণ করেন, এলাকার অনেক সচেতন মানুষজন। তারা মেয়রের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, মানুষকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হলে প্লাটের উন্মুক্ত স্থানে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। অন্যথায় সাড়ে ৮টি কোটি টাকার প্লান্ট থেকে কোন সুফল পাবেন না। এ প্রসঙ্গে জানতে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নকশাকার আশরাফুল ইসলাম জানান, সরকারি নকশা অনুযায়ী এই প্লান্টটি উন্মূক্ত রাখা হয়েছে। তাই ঠিকাদার সেই অনুযায়ী কাজ করেছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে এখানে ঢাকনার ব্যবস্থা করতে হবে। আর তা করলে বানর, বন্য পশু পাখি এখানে প্রবেশ করতে পারবে না। মেয়র ফারুকুল হক জানান, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা হস্তান্তরের জন্য বলেছে। আমরা গ্রহণ করার আগে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছি। তিনি জানান, সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখেছেন যেখানে পানির ট্যাংক বসানো হয়েছে ওই এলাকায় অনেক পশু পাখির বিচরণ রয়েছে। রয়েছে অসংখ্য বানরের অবাধ যাতায়াত। মেয়রের মতে, এখানে বানর সাতার কাটবে, অন্যান্য প্রাণীরা মরে পঁচে পড়ে থাকবে আর এই বিষাক্ত পানি মানুষ খাবে। তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পৌরসভার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, ডিজাইনে না থাকলেও উন্মূক্ত পানির ট্যাংককে যাতে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেয়া যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।