বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিয়মিত শ্রমিকদের অবসর, নতুন নিয়োগ না হওয়া ও মজুরিভিত্তিক (টিএলআর) শ্রমিকদের ছাঁটাই করায় নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সার্বিক উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। জনবল সংকটে অনেক মেশিন বন্ধ থাকায় কারখানায় এখন সুনসান নীরবতা।
কারখানার সূত্র মতে, মঞ্জুরিকৃত ২ হাজার ৮৫৯ শ্রমিকের বিপরীতে বর্তমানে নিয়মিত স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন মাত্র ৭২৮ জন। গত ১০ বছরে পর্যায়ক্রমে অবসরে যাওয়ায় নিয়মিত শ্রমিক হ্রাস পেয়ে বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩১টি। কোনো নতুন নিয়োগ হয়নি ।
কারখানায় যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক বিভাগে ক্রমবর্ধমান পদ শূন্যতা রোধ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা সচল রাখতে ২০১৪ সাল থেকে এ কারখানায় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিক নেওয়া হয়। এতে সঙ্কট কিছুটা কমে উৎপাদন স্বাভাবিক হয়। যথাসময়ে দৈনন্দিন কাজ সম্পাদনসহ লক্ষ্যমাত্রা পুরণে সক্ষমতা অর্জন করে। প্রকৌশলী ও নিয়মিত দক্ষ কারিগরদের কর্মদক্ষতায় এই মজুরিভিত্তিতে শ্রমিকরা কারখানাটির প্রায় ৭৫০টি মেশিন সচল রাখতে সক্ষম হন। কিন্তু নিয়মিত অবসর, নিয়োগ না হওয়া ও গত ৩০ জুন ৫০০ টিএলআর শ্রমিক ছাঁটাই করা হলে কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে।
সরেজমিন সৈয়দপুর কারখানার ২৯টি শপ (সাব ওয়ার্কশপ) ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি শপে প্রয়োজনের তুলনায় মঞ্জুরিকৃত ২০-২৫ ভাগ শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন কাজ চলছে। উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কিংবা নষ্ট কোচ মেরামতে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারছেন না বিদ্যমান কারিগররা। ২৯টি শপে ৭৪০টি মেশিন পরিচালনায় নেই কোনো মিস্ত্রি কিংবা দক্ষ শ্রমিক। দক্ষ জনবলের অভাবে বন্ধ থাকছে অনেক মেশিন। ক্যারেজ শপে ৩৯৫ মঞ্জুরীকৃত জনবলের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ৮৫ জন। জনবল সঙ্কটে কাঙ্খিত উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে বলে মতামত প্রকাশ করেন ঐ শপের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন, শ্রমিক সঙ্কটে উৎপাদনসহ সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে মেইনটেন্যান্সে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিশেষ ট্রেনের রেক মেরামত ও বিদেশ থেকে আনা নতুন ট্রেনের অ্যাসেম্বলিং কাজে বিঘ্ন ঘটবে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শিডিউল দপ্তরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইনচার্জ) রুহুল আমিন বলেন, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে টিএলআর ও নিয়মিত শ্রমিক দিয়ে উৎপাদন কাজ সচল ছিল। এখন টিএলআর শ্রমিক না থাকায় কাজের কোনো গতি নেই। তাই নিয়মিত শ্রমিকদের ওভারটাইমের মাধ্যমে চাহিদানুযায়ী উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদিকুর রহমান বলেন, জনবলসংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও অর্থ বরাদ্দ পেলে টিএলআর শ্রমিক দিয়ে পুনরায় কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হবে এ কারখানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।