Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খোলা বারান্দায় একত্রে চার শ্রেণির পাঠদান

নতুন ভবনের কাজে ধীরগতি

বাগাতিপাড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

কক্ষ সংকটে প্রতিদিন চার শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে খোলা বারান্দায় চলছে পাঠদান। গত পাঁচ মাসের অধিক সময় রোদ-বৃষ্টির মাথায় এভাবেই ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়লে রোদ সরাসরি শিক্ষার্থীদের গায়ে লাগে। শিক্ষকের লেখার বোর্ডও নেই। নাটোরের বাগাতিপাড়ার স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি। ১৯৮০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। সরকারিকরণ হয় ২০১৩ সালে । বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শতধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন প্রধানসহ ৫ জন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে বর্তমানে তিনটি কক্ষ রয়েছে। একটিতে নতুন ভবনের নির্মাণ সামগ্রী, একটি অফিস কক্ষ এবং অপরটিতে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে। চলতি বছরের ৬ মার্চ নতুন বিল্ডিং নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়। সেই সময় তিন কক্ষবিশিষ্ট পুরানো ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় কক্ষ সংকট। তবে নতুন ভবনের কাজ ধীরে হওয়া, আরও এক বছরের অধিক সময় লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকলিমা খাতুন বলে, খোলা বারান্দায় ক্লাস করতে গিয়ে রোদ সরাসরি গায়ে লাগে, আবার ফ্যানও নাই তাই গরমে অনেক কষ্ট হয়। বৃষ্টি আসলে ক্লাস বন্ধ করে অফিসে গাদাগাদি করে বসে থাকতে হয়। এতে আমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন জানান, প্রথম শিফটে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কক্ষে পাঠদান হয়, আর শিশু ও প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওই বারান্দায় পাঠদান করানো হয়। আবার দ্বিতীয় শিফটে চতুর্থ শ্রেণির কক্ষে এবং তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খোলা বারান্দায় বসে পাঠদান হয়। এতে করে ওই অল্প স্থানটিতে একসঙ্গে তিনজন শিক্ষক পাঠদান করাতে গিয়ে শিক্ষকরা বিড়ম্বনার শিকার হন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের একই সাথে একাধিক শিক্ষকের কথা শুনতে পাওয়ায় মনোযোগ বিঘ্ন হয়। এছাড়াও যেকোন দুর্যোগে দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অফিসের মধ্যে গাদাগাদি করে বসিয়ে রাখতে হয়।

পরিচালনা কমিটির সভাপতি সামস তাবরেজ আল রুমি বলেন, কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন করেও কাজ হয় নি। স্লিপের টাকা থেকে ছোট একটি টিনের ছাপড়া ঘর করা হয়েছে, যার বেড়া অর্থের অভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি। নতুন ভবনের কাজে ধীর গতি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ আরও কতো দিন পোহাতে হবে বুঝতে পারছি না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ড. সাবরিনা আনাম বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তবে এসব ক্ষেত্রে শিক্ষা অফিসের বরাদ্দ থাকে না। সরকার তো স্থায়ী বিল্ডিং নির্মাণ করে দিচ্ছে। অস্থায়ীভাবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিছু করা হবে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ