Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজবাড়ীর বুড়োই বিলে ফুটেছে হাজার হাজার পদ্ম

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২২, ১:২৪ পিএম

উপরে খোলা আকাশ আর নীচে স্বচ্ছ জলরাশি, সেই জলরাশিজুরে সৌন্দর্যের আভা ছড়াচ্ছে ফুটে থাকা হাজার হাজার পদ্ম। নজরকারা এই ফুল শুধু বিলে নয় ? সৌন্দর্য বাড়িয়েছে আশে পাশের প্রকৃতিরও। ফুটে থাকা এসব পদ্মফুলের দেখা মিলবে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বুড়োই বিলে, যা দেখতে প্রতিদিন ভীর করছে শত শত দর্শনার্থী। ফুল ছিড়ে কেউ যাতে সৌন্দর্য নষ্ট করতে না পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন গ্রাম পুলিশের পাহারা বসালেও এক মাস পরেই তুলে নেওয়া হয়েছে তা। যে কারনে ফুলের স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।


বুধবার ( ২৪ আগষ্ট ) সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ভোর হওয়ার সাথে সাথে যেন নীজের রুপে দ্রুতি ছড়াচ্ছে পদ্মরানী। যার কোমল কলি ভেদ করে ঝলমলিয়ে উঠা গোলাপি আভা ছরিয়ে পরছে বিলের স্বচ্ছ পানি ও আশে পাশের প্রকৃতিতে। প্রকৃতির এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশের দেখা মিলছে বুড়োই বিলে। যতদুর চোখ যায় গোলাপী আর সাদা পদ্মে চোখ জুরিয়ে যায় দর্শনার্থীদের। পদ্মা ফুলের এমন মায়ায় হারাতে ছুটে এসেছে দুর দুরান্ত থেকে শত শত দর্শনার্থী।

এ সময় রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে আসা দর্শনার্থী খায়রুল ইসলাম বলেন, বুড়োই বিলে পদ্মফুলে দৃষ্টি নন্দন হয়ে উঠলেও বিলটিতে যেতে নেই তেমন কোন রাস্তাা। পায়ে হেটে যেতে হয় অন্তত আধা কিলোমিটার এরপর কাদামাটি। যে কারনে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।
আবু সাইদ নামে অপর দর্শনার্র্থী বলেন, পদ্ম ফুল সব বিলে হয় না। গত তিন বছর যাবৎ বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে বুড়োই বিলে পদ্ম ফুল ফুটছে। এই ফুল তিন চার মাস শোভা ছরায়। দুর দুরান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী আসে বিলটি দেখতে। বিশেষ করে শুক্রবারে বেশি আসে। অনেকে পরিবার পরিজন নিয়েও আসে। বিলটি সরকারীভাবে সংরক্ষন করা হলে এই এলাকাটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী মাস্টার বলেন, বুড়োই বিলে পদ্ম ফুল দেখতে দর্শনার্থীরা আসে প্রথম দিকে দর্শনার্থীরা ফুল ছিড়ে বিনষ্ট করে ফেলেছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা গ্রাম পুলিশের পাহারা বসিয়েছিলাম। দীঘ্য এক মাস পাহাড়া দেওয়ার পর সেই পাহাড়া তুলে নেওয়া হয়েছে। কারন আমার ইউনিয়নে ৪ জন গ্রাম পুলিশ কম আছে। তাছাড়া বিলটির বেশির ভাগ জমি মালিকানা যেখানে ওই জমির মালিকেরা ধান রোপন করবে। দর্শনার্থীরা পারিয়ে জমি নষ্ট করে ফেলছে তাই আপাতত গ্রাম পুলিশ তুলে নেওয়া হয়েছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, গত তিন বছর যাবৎ বুড়োই বিলে পদ্ম ফুল ফুটতে দেখা যাচ্ছে। পদ্ম ফুল সংরক্ষনের জন্য কোন পরিকল্পনা গ্রহন করা যায় কিনা বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে। এ ব্যপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ