Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৯ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ওই অবস্থান করা শুরু হয়।

জানা যায়, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পোড়াহাতা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আলম মিয়া (২৪) গাজীপুর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। সেখান থেকে প্রায় দুইমাস পূর্বে ঢাকা উত্তরায় অবস্থিত ১০শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর সাথে ফেসবুক পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার আলম মিয়া ওই স্কুল ছাত্রীকে বিবাহ করবে বলে আশ্বাস দিয়ে বাসা থেকে বের হতে বলে। আলমের এমন আশ্বাসে মেয়েটি পরিবারকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক না জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। বের হওয়ার পর আলম মেয়েটিকে ফোন করে বলে আজ তার সাথে দেখা হবে না যদি পারো তোমার কোন এক বন্ধুর বাসাতে চলে যাও। এ অবস্থায় মেয়েটি আলমের কথা মতো ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার এক বন্ধুর বাসায় যায়। যাওয়ার সাথে সাথে আলম পুনরায় ফোন করে গাজীপুর টঙ্গী এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় মেয়েটিকে আসতে বলে। আলমের কথায় মেয়েটি তার বন্ধুর বাসায় অবস্থান না করে সাথে সাথে সেখান থেকে টঙ্গী চলে আসে। সেখানে যাওয়ার পর আলম তাকে আগামীকাল বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।

এ অবস্থায় পরের দিন মেয়েটি আলমকে বিয়ের কথা বললে আলম সেখান থেকে গা ঢাকা দেয়। তখন মেয়েটি তার উত্তরায় তার বাবার বাসায় গেলে তার বাবা তাকে মারধর করে বের করে দেয়। এ অবস্থায় মেয়েটি তার এক মামার সাথে বিষয়টি শেয়ার করে। তখন মেয়েটির মামা ওই প্রতারক আলমকে অনেক খুঁজাখুঁজি করে তার ঠিকানা বের করে মেয়েটিকে দেয়। পরেরদিন মেয়েটি তার মামার দেওয়া ঠিকানা মতে গাজীপুর আলমের ভাড়া বাসায় গিয়ে অবস্থান করে।

মেয়েটি তার বাসায় অবস্থান করছে এমন খবর আলমের গ্রামের বাড়িতে আসার পর আলমের বাবা মেয়েটিকে তার ছেলে আলমের কাছে বিয়ে দিবে বলে নিয়ে আসতে বলে। পরে মেয়েটিকে তার বোন এবং মামা ও প্রেমিক আলম মিলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ এলাকায় আলমের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নেয়। সেখানে দুই পরিবার ও স্থানীয়দের নিয়ে এক শালিশ দরবার বসে। সেই শালিশ দরবারে আলমের সাথে মেয়েটির বিবাহ হবে না এমন সিদ্ধান্ত হলে মেয়েটি শালিশ দরবার থেকে বের হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত নিজ বাড়িতে চলে আসে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মেয়েটি বিয়ের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পোড়াহাতা গ্রামে অবস্থিত আলমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।

মেয়েটি বলেন, আলম আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে তাই যতক্ষণ পর্যন্ত আলম আমাকে বিয়ে না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এই বাড়িতেই অবস্থান করবো।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এবিষয়ে কারো পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ