পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বনবিভাগের ৭০ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে বসতি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বনবিভাগের সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাকৃতিক টিলার মাটি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করছে ওইসব দখলদাররা। এরাই দিনের বেলায় বনবিভাগের টিলার মাটি এবং রাতে স্থানীয় করাতকলের কাছে গজারী গাছসহ বিভিন্ন ফলদ গাছ বিক্রি করছে।
রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদি মৌজায় বনবিভাগের জায়গায় টিলার মাটি ও গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্যের মারাত্মক ক্ষতি করা হচ্ছে। জানা গেছে, ওয়ান ইলেভেনের সময় বনবিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু আদালতে মামলা থাকায় উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যে স্থানীয়রা গজারী বনকে রক্ষার দাবিতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি পেশ করছেন। উপজেলা প্রশাসন বনবিভাগ দখল নিয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করেছে। তবে দখলদারদের দাবি, সিএস পর্চামূলে তারাই মালিক। এসএ ও আরএসে মালিক বনবিভাগ। যখন সরকার রায় পাবে তখন তারা বনবিভাগের জমি ছেড়ে দিবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার দুর্গম এলাকা হিসাবে পরিচিত দাউদপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদি মৌজার এসএ ও আরএস পর্চামূলে ২ নম্বর খতিয়ানের ২১ নম্বর দাগে ৭০ বিঘা জমি বনবিভাগের। পুরো এলাকায় ছিল হাজার হাজার গজারী গাছ। এছাড়াও শাল, আম, জাম, নারিকেল, কাঠালসহ অন্যান্য ফলদ ও ওষুধি গাছও ছিল। সেই সাথে ছিল অগনিত সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাকৃতিক টিলা।
নির্বিচারে গাছপালা আর টিলার মাটি কেটে গড়ে তোলা হয়েছে বসতি। নব্বই দশকের পর বনবিভাগের এসব জমির উপর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর দৃষ্টি পড়ে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠতে থাকে বসতি। বর্তমানে প্রায় ৫২ জন প্রভাবশালীর কব্জায় রয়েছে বনবিভাগের জায়গা। বনবিভাগের জায়গা নিয়ে এলাকাবাসী ও অবৈধ দখলদারদের কথার মধ্যে কোন মিল নেই। এলাকাবাসীদের অনেকের অভিযোগ, প্রভাবশালীরা ক্ষমতার জোরে বনবিভাগের জায়গা দখল করে রেখেছে। বনবিভাগের জায়গায় বাড়ি বানানো বজর আলী নামে একজনকে প্রশ্ন করলে তিনি সরাসরি অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ নাকচ করে দেন। তার কথা, জায়গা আমার। আমি বাড়ি করেছি। এই জায়গাতো বনবিভাগের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বনবিভাগের হলে তো তারা কিছু বলত।
ফজলুল হক সিকদার নামে অপর একজন বলেন, তিনি অনেক আগে থেকে ভোগদহল করে খাচ্ছেন। বনবিভাগের জায়গা দখল করেছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পূর্বপুরুষের আমলে এসব জায়গা জোতে ছিলো। এখন এসএ ও আরএসে বনবিভাগের হয়েছে। কিন্তু বনবিভাগ তো জায়গার দখল পায়নি। টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন কেন? এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, টিলার মাটি কেটে সমান করেছেন। মাটি কোথায় ফেলবেন সে চিন্তা থেকে বিক্রি করে দেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান মারুফ বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল হক বলেন, যেহেতু জায়গা বনবিভাগের। তাই দখলদাররা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।