Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আদমদীঘিতে খরার তীব্রতায় আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির

মো. মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘিতে খরার তীব্রতায় রোপা আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রখর রোদে সব শুকিয়ে যাচ্ছে। রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছে রোপা আমন ধানের চারাগুলো। একটু বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন এলাকার কৃষকরা। একটু বৃষ্টি হলেই মৌসুমের রোপা আমন চাষে এবং রোপন ধানের পরিচর্চা কাজে ফিরতে পারলেই স্বস্তি ফিরে আসবে কৃষক মহলে।

ভাদ্র মাসের শুরুতেই চৈত্র মাসের মতো খরা। কাঠফাটা তপ্ত রোদে ও ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির দিকে চেয়ে আছে মানুষসহ প্রাণীকুল। লাগানো জমিতে ধান বাঁচাতে মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক।
চারা রোপনের সময় পার হয়ে যাচ্ছে এবং চাড়ার বয়স বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। প্রচন্ড খড়ার কারণে চলতি মৌসুমে এলাকায় অনেক জমিতে ধান চাষ করতে পারবে না স্থানীয় কৃষকরা। এসব কারণে এই উপজেলায় রোপা আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ারও আশংকা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার এই উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক টানা খরার পর গত দু-এক দিন ঝিড় ঝিড় করে বৃষ্টি হলেও প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের অভাবে সময়মত জমিতে হালচাষ ও জমি তৈরি করে ধান লাগাতে পারছেনা স্থানীয় কৃষকরা। ফলে তাদের তৈরি করা চাড়ার বয়স বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকার উপর পোঁওতা গ্রামের আব্দুল করিম ও বাদেশ বলেন, আকাশের বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে হালচাষ দিতে পারছিনা। জমি তৈরি করতে প্রায় ১৫ দিন সময় লাগে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে হাল চলেনা।
কায়েত পাড়ার মোজাম উদ্দীন ও আজাহার আলী বলেন, আষাঢ়ের শেষ দিকে ও শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা হালচাষ দিয়ে জমি তৈরি করে ধান লাগাতাম। এজন্য আষাঢ়-শ্রাবণ মাসকে সোনার মাস বলে বলি কিন্তু এখন আর সময়মত বৃষ্টি পাত না হওয়ায় চারার বয়স বেড়ে যাচ্ছে, খরায়ে অনেকের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। পানির অভাবে এবার মাঠে অনেক জমি পড়ে থাকবে এবং নিচু জমিতে লাগানো ধানের সময়মত পরিচর্চা করা না গেলে ধানের ফলন কম হবে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বৃষ্টির পর কৃষকরা জমিতে হালচাষ দিয়ে চারা রোপন করার কাজ শেষ করতে পারলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ