Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে সহকর্মীকে হত্যার অভিযোগ

মনোহরদী (নরসিংদী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

নরসিংদীর মনোহরদীতে আবুল কালাম আজাদ কে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বন্ধু বিল্লাল হোসেন এর বিরুদ্ধে। গত রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের নামা গোতাশিয়া গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত তরুণের অভিযুক্ত বন্ধুকে আটক করে মনোহরদী থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। আবুল কালাম আজাদ গোতাশিয়া ইউনিয়নের ঠেকেরকান্দা এলাকার আবদুস ছাত্তারের ছেলে। আর আটক বিল্লাল হোসেন একই ইউনিয়নের নামা গোতাশিয়া এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তারা দুজনই পেশায় রংমিস্ত্রি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করতেন তারা। সেই সুবাধে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও তৈরি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে দাওয়াতের কথা বলে আবুল কালামকে বাড়িতে ডেকে নেন বিল্লাল হোসেন। দুপুরের খাওয়ার পর তারা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পাশের ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন একটি বাঁশঝাড়ে যান। সেখানে প্লাস্টিকের একটি পাটি বিছিয়ে তারা দুজন বসেছিলেন। পরে বিকেলের দিকে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিল্লাল ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ী থেকে একটি ধারালো দা নিয়ে এসে আবুল কালামের গলায় কয়েকটি কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই কালামের মৃত্যু হয়। এ সময় পালিয়ে না গিয়ে ঘটনাস্থলেই বসে থাকে বিল্লাল। পরে স্থানীয় লোকজন এসে বিল্লালকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
নিহত আবুল কালামের মা মার্জিয়া বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজের সূত্রে বিল্লাল ও কালামের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। বিল্লাল আমাকে মা বলে ডাকত। নিয়মিত আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। ঘটনার দিন তারা কাজে যায়নি। দুপুরে আমার ছেলেকে ফোন দিয়ে ডেকে নেয় বিল্লাল। বিকেলে জানতে পারি, বিল্লাল আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বিল্লাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। প্রকৃত রহস্য জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ