রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঝড়ের কবলে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৯টি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে ৭টি ট্রলারের ২৫ জন জেলে উদ্ধার হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে গেছে। এখনো ২ ট্রলার, ১৭ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বারেক মাঝির মালিকানাধীন ‘এফবি লামিয়া, ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মান্নান মাঝির মালিকানাধীন মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেরা নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে নিখোঁজদের না পেয়ে জেলে পরিবারে আতঙ্ক-উৎকন্ঠ বেড়ে গেছে। নিখোঁজ ২ ট্রলারের ১৭ জেলে কবে নাগাদ ফিরে আসবেন এমন প্রতিক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন জেলে পল্লীর পরিবারগুলো।
নিখেঁাঁজ জেলে বারেক মাঝির ভাই মো. বাবুল জানান, গত ১৭ আগস্ট সকালে আমার ভাই বারেক মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি, আল-আমিন, দেলওয়ার, আলাউদ্দিন মীর, শাহিন হাওলাদার, আবুল মৃধা, মনির বেপারী, সারোয়ার, ইউসুফ, সফিউল্ল্যাহ, ইব্রাহিম ও অজ্ঞাত একজনসহ ১৩ জন জেলে নিয়ে মাছ শিকারে সাগরে যায়। বৈরি আবহাওয়ার পর থেকেই আর তাদের কোন খোঁজ পাই না। মৃত্যুর কোল থেকে জীবিত ফিরে আসা মন্নান মাঝি জানান, আমি ১৭ জন জেলেসহ বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাই। এর পরে সাগরে নিম্নচাপ শুরু হলে আমার ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকি। এরই মধ্যে ট্রলারের পাশ দিয়ে যাওয়া একই ইউনিয়নের রিয়াজ মাঝি ও ফিরোজ মাঝি আমার ১৭ জন জেলেকে উদ্ধার করে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মতিন খান জানান, নিন্মচাপের পর থেকেই নিখোঁজ হওয়া ট্রলার ও মাঝিমাল্লাসহ সকলকে উদ্ধার অভিযানে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অব্যাহত রয়েছে।
কয়েকটি টিম গভীর সমুদ্রে জেলেদের উদ্ধার অভিযানে কাজ করে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত ২৫ জেলে উদ্ধার হয়েছে এবং ১৭ জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।