রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিপুর সদরপুরে অসহায় পঙ্গু ভিক্ষুক মো. জয়নাল ফকির (৫৫) পিতা- মরহুম কুটি ফকির, গ্রাম ঠেংগামারী, ইউনিয়ন কৃষ্টপুর পো. হাটকৃষ্টপুর থানা: সদরপুর।
তার ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ হওয়ার চিন্তায় এখন মরণ পথযাত্রী। গত ১৯ আগস্ট এই ভিক্ষুকের বাড়িতে গিয়ে জানাগেলো এই হৃদয়বিদারক কাহিনী। কষ্টে দুখে ও শোকে কান্নাও করতে পারছিলো না সে। জয়নাল পেশায় ছিলেন একজন ড্রাইবার। সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পাঁ সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায় ১৩ বছর আগে। এক ছেলে এক মেয়ে স্ত্রীসহ বড় অসহায় হয়ে পড়েন তার গোটা পরিবার। এক দিকে সংসারের খরচ অপরদিকে প্রতিদনের ওষুধ কেনার ৫/৬ শত টাকা জোগার করা তার পক্ষে খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে।
অর্ধাহারে অনাহারে দীর্ঘ সময় পাড় করে জয়নাল। শেষ পর্যন্ত ভিক্ষাবৃত্তির পেশা বেছে নেয় সে। লোক লজ্জায় এলাকা ছেড়ে তিনি চলে যান, শিবচর কাঁঠালবাড়িয়ার ঘাট এলাকায় ভিক্ষা করতে। সেখানে তিনি ১০/১২ বছর ধরে ভিক্ষা করে সংসার সন্তান বাঁচিয়ে বেস কিছু টাকা পুঁজিও করেন। একদিন পরিচয় হয়, সদরপুর উপজেলার ১৭ রশি এলাকার মো. শাহাবুদ্দিন মাতব্বর পিতা সোনা মিয়ার সাথে।
জয়নাল ও তার স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে দেয় এই প্রতারক। গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেন পঙ্গু ভিক্ষুক জয়নালের সাথে। বাকি জীবন সুখ-শান্তিতে কাটানোর স্বপ্ন দেখিয়ে, প্রতারক দল ১২ বছরের ভিক্ষা করা নগদ তিন লাখ টাকা তুলে দেন প্রতারকদের হাতে। এর মধ্যে জয়নালের বাড়িতে আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে উল্লিখিত, মুল প্রতারক মো. শাহাবুদ্দীন মাতুব্বর ভিক্ষুক জয়নালের একমাত্র মেয়ের সাথে প্রেমের ফাঁদ ফেলে দিয়ে সর্বনাশ করার মধ্য দিয়ে জমি বিক্রি করায়ে হাতিয়ে নেয় আর তিন লাখ। গ্রাম্য শালিশ দরবারে পঙ্গু ভিক্ষুকের হাতে তুলে দেন একটি ভুয়া ভিসা। ভুয়া ভিসায় বিদেশে যাওয়া হলো না ছেলের।
ভিক্ষুক জয়নাল ৬ লাখ টাকা উদ্বার করতে এখনও ঘুরছে সকলের দ্বারে দ্বারে। এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
উল্লিখিত, বিষয় গণমমাধ্যম কর্মীরা অভিযুক্ত শাহাবুদ্দীন মাতুব্বরের সাথে কথা হলে বলেন, আমি কোন প্রতারনাও করিনি মিথ্যা কথাও বলিনও। টাকাও আত্মাসাৎ করিনি। আমার নামে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা ও মনগড়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।