Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনগণ আজ কষ্টে জর্জরিত- অমিত

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ৬:৪০ পিএম

যশোরের কেশবপুর ও বেনাপোলের বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত করেছে জেলা বিএনপি। সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, বতর্মান ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার রাজনৈতিক সংকটে আবর্তিত হয়েছে। যেকারনে তারা দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সন্ত্রাসীরা একের এক পর অতর্কিত হামলা চালিয়ে অসংখ্য বিএনপিদের গুরুতর জখম করছে। দেশব্যাপী চালানো তাদের সেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতায় গেলা ১৬ আগস্ট বেনাপোলে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দোয়া মাহফিলে অপু, রাসেল, রুবেলের নেতৃত্বাধীন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা দেশী অস্ত্র সহকারে হামলা চালায়।

হামলায় বিএনপি নেতা, শার্শা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আক্তার, মাকসুদুর রহমান রিন্টু, মিজানুর রহমান, আব্দুল আলিম, হাবিব, যুবদল নেতা মোঃ মুছা, ছাত্রদল নেতা আরিফুজ্জামান, সাদিকুর রহমান, সুমনসহ দলের ১১ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর জখম করে।
এছাড়া গেল ১২ আগস্ট শার্শা কায়বায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামসহ ৫ জনকে জখম করে। সর্বশেষ রবিবার রাতে কেশবপুর পৌর সদরে গণি শেখের পুত্র জামাল,আকবার আলীর পুত্র মাহবুব, আবু সাঈদের পুত্র আবু তাহের,জাহাঙ্গীগের পুত্র সৌরভ, মুকুলের পুত্র মাসুদ, আলতাফের পুত্র সোহান, আজিজের পুত্র একরামুল, আব্দুল হারিমের পুত্র রাব্বি,আজগর আলীর পুত্র রাসেল গ্যাংয়ের নেতৃত্বাধীন স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী, ফারুখ, ইদ্রিস, রাকিব,সিনবাদ, মনির, এনামুল, বাপ্পি, সুমন, সোহেল, সোহাগসহ ৭০-৮০ জন সন্ত্রাসী ৫০-৬০ মোটর সাইকেলে দেশীয় অস্ত্রসহকারে মহড়া দেয়।

এসময় সন্ত্রাসীরা কেশবপুর পৌর সদদেরর বিভিন্ন স্থানে বিএনপিসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী দেখা মাত্রই তাকে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে জখম করে। সন্ত্রাসীরা মারপিট করে পৌর স্বেচ্ছাসেক দলের আহŸায়ক জাহাঙ্গীর কবির পলাশের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সাইফুল ইসলামকে কেশবপুর বাজারের মধ্যে ছুরকাঘাত করে শ্মশান ঘাটে নিয়ে ব্যাপক মারপিট করে মৃত ভেবে ফেলে যায়। দলের ১১ জন নেতাকর্মীকে গুরুতর জখম করেছে। যাদের অধিকাংশই চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার সকাল থেকে সন্ত্রাসীরা আবার সংঘ বদ্ধ হয়ে মহড়া অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, সীমাহীন দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির ফলে দেশ সাধারণ জনগণ আজ কষ্টে জর্জারিত। তারা মুক্তির জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। জনগণের দল বিএনপি তাদের পাশে থেকে সেই কষ্ট লাঘবের জন্য এর প্রতিবাদ করে আসছে। জনগণের যৌক্তিক দাবিকে আওয়ামীলীগ নস্যাৎ করতে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। কোন সভ্য দেশের চিত্র এবং কোন গণতান্ত্রিক সরকারের চরিত্র এমন হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস নিজ নিজ এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলার চিত্র তুলে ধরেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ