বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনার তালতলীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৭জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ভারাটে ৫ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
সোমবার (২২আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ হামলায় আহতরা হলো আব্দুল মালেক হাওলাদার (৬৫) রাসেল হাওলাদার (৩০) ইব্রাহিম (২৭)বেল্লাল(২৮)ময়না বেগম(৪৫) নিপা আক্তার (২৪) শারমিন(২০)। এ ঘটনায় আহতদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের ছাতনপাড়া গ্রামের রাখাইন উথওয়েন জমি পাশবর্তী বড় অংকুজান পাড়া গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের কাছে ২০ লাখ টাকা দিয়ে বায়না চুক্তি হয় ও ভোগদলের থাকে তার। তবে একই জমি হোমিও চিকিৎসক নাজমুল হোসেন চুন্নুর কাছে গোপনে বিক্রি করেন উথলে ওয়েন। ঔ জমি নিয়ে আলমগীর হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ এরই ধরে মঙ্গলবার সকালে চুন্নু বরগুনা থেকে প্রায় শতাধিক ভারাটে সন্ত্রাসী নিয়ে আলমগীরের জমি দখল করতে যায়। আলমগীরের অনুপস্থিতিতে তার ছেলে রাসেল হাওলাদার, ভাই মালেক, তার ভাতিজা ইব্রাহিম (২৭)বেল্লাল(২৮) ভাবি ময়না বেগম(৪৫) পুত্র বধু নিপা আক্তার (২৪) ভাতিজি শারমিন এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে চুন্নুর লোকজন দেশিও অস্ত্র চাপাতি, শাবল ও লাঠিসহ পানিতে মরিচের গুঁড়ো নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মহিলাসহ ৭ জন আহাত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে আহতদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে ঘটনস্থল পুলিশ গিয়ে চুন্নুর ভারাটে ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে সবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার পরিরখাল এলাকায়।
এবিষয়ে আলমগীর হাওলাদার বলেন, আমি বায়না সূত্রে জমির মালিক ও ভোগদখলে আছি। ঔ জমি চুন্নুর কাছে গোপন বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই জমি ভারাটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে দখল করতে আসলে বাধা দেওয়া হয়। পরে আমাদের লোকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, জমি দখলের বিষয়ে ও জীবনাসের হামলার শঙ্কর বিশেষ তালতল থানা একটি জিডি করা হয়।
হোমিও চিকিৎসক নাজমুল হোসেন চুন্নুর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে । ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি । অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।