Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভয়নগরে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে

অভয়নগর (যশার) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বৃষ্টির পানি জমতে শুরু করার সাথে সাথেই ডেঙ্গু রোগের ভয়াবহতা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত ১৯ দিনে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে তথ্য মিলেছে। এছাড়া অনেকে যশোর ও খুলনায় চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ভয়াবহতার মাঝেই একদিন আগে গত ২০ আগস্ট নীরবে পার হয়ে গেছে বিশ্ব মশাদিবস। বিশ্ব মশা দিবসে এ উপজেলার কোথাও জনসচেতনতামূলক কোন কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ফলে এ নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতায় এ উপজেলায় মশাবাহিত এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রায় সকল ওয়ার্ডেই বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার শিকার হয়। এছাড়া দূর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং ড্রেন গুলো যথাযথভাবে পরিস্কার না করায় জলাবদ্ধতা বেড়েই চলেছে। ফলে এসকল জলাবদ্ধ অঞ্চলে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু রোগের বাহক ভয়ংকর এডিশ মশা। তাছাড়া শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দর নগর নওয়াপাড়ার পৌর এলাকায় জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধির সাথে সাথে অধিকাংশ বাসা বাড়ির সদস্যরা ছাদ বাগান ও ইনডোর প্লান্টের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এসকল গাছের টব গুলো দিনের পর দিন পরিস্কার না রাখায় এবং পানি পরিবর্তন না করায় এসকল টবে এডিশ মশা বংশ বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে। ফলে দিন গেলেই এ উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়া তথ্যমতে, গত ১ আগস্ট হতে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহামুদুর রহমান রিজভী বলেন, অভয়নগর উপজেলায় সম্প্রতি ডেঙ্গু রোগী উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। ১৯ দিনে হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি হলেও এর বাইরে অসংখ্য ডেঙ্গু রোগী রয়েছেন বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অনেকে ডেঙ্গু জ্বরকে সাধারণ জ্বর মনে করে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি পৌরকর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের যৌথভাবে কাজ করতে হবে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলমান রেখেছি।

অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজাহ উদ্দীন জানান, তিনি অভয়নগরের ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানেন না। এসময় তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেও তাকে কিছু জানানো হয়নি বা কোন পরামর্শ করেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ