বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (২১ আগস্ট) পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠন করে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে দেবু মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করলেও শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলাম, এ কে এম নাজমুল আহসান, আবু নাছের চৌধুরী, ইদ্রিস মিয়া ও ইমরান হোসেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলোশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় ৫৪ শতক জায়গায় বাড়ি করার জন্য আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজাইন সোর্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেন বন্ধন নাথ নামের এক ব্যক্তি। ওই দিন কাজ শুরু করতে গেলে আসামিরা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বন্ধনকে মারধর করেন আসামিরা। এমনকি তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিলে আসামিদের দেওয়া তিনটি স্ট্যাম্পে সই করেন তিনি। স্ট্যাম্পে প্রথম পক্ষ রাখা হয় বন্ধন নাথকে। দ্বিতীয় পক্ষ এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলামকে। সেখানে ব্যবসায়িক লেনদেন বাবদ বন্ধন নাথের কাছে আসামিদের পাওনা রয়েছে দেখানো হয়। প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড লালদীঘির পূর্ব পাড় শাখার হিসাব নম্বর থেকে পাঁচটি চেক দেন বাদী। আসামিদের সঙ্গে না পেরে ৭০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন মামলার বাদী।
এতেও ক্ষ্যান্ত হননি আসামিরা। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ করতে গেলে আসামিরা বাকি ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আসামিদের কারণে একপর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দেন বন্ধন। শেষে বাধ্য হয়ে এই ঘটনায় প্রবাসী বন্ধন নাথ বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ দেবাশীষ নাথ ও এ টি এম মঞ্জুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। আদালতের আদেশে তাদের কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সেখানে ব্যবসায়িক লেনদেনের তথ্য দেখাতে পারেননি আসামিরা। তদন্ত শেষে পাঁচলাইশ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।