Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতন দোষীদের বিচার দাবি

রাবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও তার দুই সহকর্মী অর্থনীতি বিভাগের চতুুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সামসুল ইসলামকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের পাশে প্যারিস রোডে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকদিন থেকে এমন শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে এবং আমরা সচেতন ছাত্র-শিক্ষক সমাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমার বিভাগের সামসুল ইসলাম নামের শিক্ষার্থীর উপর যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং টাকা ছিনতাই করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। স্বাধীন দেশে এমন কাণ্ড হওয়ার পরও সরকার কেন নিরব থাকছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু করার ক্ষমতা নেই, তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, সংগঠনটি আপনার বাবার হাতে গড়া। আজকে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে আর আপনি নিরব আছেন?
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, আমরা আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের নিরাপত্তার জন্য। সামসুল ইসলাম মতিহার হলে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করে তার পরিবার চালাতো। তাকে তিনঘণ্টা যাবত আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা চাই প্রশাসন এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক দ্বিতীয়বার এমন ঘৃণ্য কাজ কেউ করতে গেলে দৃষ্টান্তের কথা একবার হলেও চিন্তা করবে। প্রশাসনের নিরব থাকার ফলেই ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদেরকে নির্যাতন করার সাহস পাচ্ছে। আমরা চাই দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
এসময় মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার রাতে রাবির অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সামসুল নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে তিনঘণ্টা আটকে রেখে মারধর এবং জোরপূর্বক ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ তুলে প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত পত্র দেন ওই শিক্ষার্থী। এতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহার বিরুদ্ধে ওইদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হলের ২৩২ নম্বর রুমে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ