Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলারের দাপট

মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অবাধে চলছে অবৈধ যানবাহন থ্রি-হুলার আটোরিকশা, ইজিবাইক, মাহিদ্রা নছিমন-করিমন ও ভটভটি। এতে মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে বাড়ছে নিহত ও আহতদের সংখ্যা।
স্থানীয় বাস শ্রমিকদের অভিযোগ, পুলিশের সামনে দিয়ে এসব নিষিদ্ধ যান চলাচল করলেও এগুলো বন্ধ করার জন্য নেয়া হচ্ছে না স্থায়ী কোনো আইনগত ব্যবস্থা। সে কারনে প্রতিদিন মহাসড়কে বাড়ছে অবৈধ থ্রি হুলার এসব গাড়ি।
সরেজমিনে দেখ যায়, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন চলছে অবৈধ থ্রি-হুলার মাহিদ্রা, অটোরিকশা, ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি যানবাহন। শ্যালোইঞ্জিন ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে এসব অবৈধ যানবাহন তৈরি করা হচ্ছে। তাদের নেই কোনো বৈধতা। পুলিশের সামনে প্রতিনিয়ত চলছে নছিমন, করিমন, মাহিদ্রা, ইজিবাইক। যে কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। দৌলতদিয়া ক্যানেল ঘাট মডেল হাই স্কুলের সামনের সড়কে নিয়মিত গরু আনা নেয়া করছে শতাধিক এসব অবৈধ যানবাহন। এ ছাড়া বালু, সিমেন্ট, কাঠ, খড়ি, পাটসহ বিভিন্ন পন্য নিয়ে নসিমন, করিমনে করে সরবরাহের করছে। এদিকে মাহিদ্রাতে এক ধরনের স্টিকার লাগিয়ে মহাসড়ক দিলে চলাচল করছে। এই স্টিকার মাহিদ্রাতে লাগানো থাকলে নাকি কোন পুলিশ সেই যানবাহনটি আটক করে না।
নছিমনে চলাচলকারী গরু ব্যবসায়ী বাচ্চু মোল্লা বলেন, নছিমন, করিমন, ভটভটি দিয়ে তারা গরু আনা-নেয়া করেন। সে স্বীকার করেন, এগুলো অবৈধ ও অনিরাপদ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। খরচ বাঁচাতে মিনি ট্রাকের বিকল্প হিসেবে এই যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন। এসব গাড়ির ব্রেক সিস্টেম ভালো নয়। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এই যানবাহন চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স। অনেক সময় মালপত্রসহ গাড়ি উল্টে যায়।
রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. আ. রশিদ বলেন, শ্যালোইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যানবাহন চালকদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ এই অবৈধ যানবাহন। নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ সকল শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি অবৈধ যানবাহন পুলিশের সামনে প্রতিনিয়ত চলছে সড়কে। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মাহিদ্রাতে স্টিকার লাগানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। মহাসড়কে মাহিদ্রা, ইজিবাইক, শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যে সকল অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ