Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপজাতি মুন্ডাপল্লীতে হামলার প্রতিবাদ

শ্যামনগরে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

জমি দখলের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাটের উপজাতি মুন্ডা পল্লীতে হামলা চালিয়ে একজনকে পিটিয়ে হত্যা ও তিন নারীকে জখমের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। আইন ও সালিস কেন্দ্র, উত্তরণ, এমএসএফ, ভূমি কমিটি, পানি কমিটি, স্বদেশ, এইচআরডিএফ, সিএসও এইচআরডি কোয়ালিশন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধন চলাকালে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও এমএসএফ’র সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, নাগরিক নেতা আনিসুর রহিম, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, মমতাজ আহমেদ বাপী, রঘুনাথ খাঁ, স্বদেশ পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, নারী নেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত, উত্তরণ কর্মকর্তা অ্যাড. মনিরউদ্দিন, ফণীন্দ্রনাথ মুন্ডা, তারপদ মুন্ডা, জয়দেব মুন্ডা, প্রশান্ত মুন্ডা, গোপাল মুন্ডা, ফরিদা আক্তার বিউটি, আফজাল হোসেনম, লুইস রানা গাইন, মরিয়ম মান্নান, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, অসিত মুন্ডা, ধীমান সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপজাতি মুন্ডা সম্প্রদায়ের জমি প্রজাস্বত্ব আইনে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তরযোগ্য নয়। অথচ শ্যামনগরের শ্রীফলকাটি গ্রামের রাশেদুল ও এবাদুল জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে ধুমঘাটের মুল্লুক চাদ মুন্ডার আট বিঘা জমি গত শুক্রবার সকালে জবর দখলের চেষ্টা করে। এসময় সেখানে বসবাসরত ২২টি মুন্ডা পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের ধানের বীজতলা পাওয়ার টিলার দিয়ে চষে দেওয়া হয়। বাধা দেওয়ায় তিন নারী ও এক পুুরুষকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। হামলায় আহত নরেন্দ্র মুন্ডার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া কৈখালি ইউনিয়নের সাহেবখালিতে কর্ণ মুন্ডা, সঞ্জিত মুন্ডা ও খুকুমনি মুন্ডার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভোলা আদালতে দেয়া হয়েছে মিথ্যা মামলা। হামলার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শুকুর আলী, যুবলীগ নেতা ফিরোজ হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বংশীপুরের দুটি ক্লাবের বেশ কিছু সদস্য জড়িত। বক্তারা অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ